একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আজ মাঠে নামছে সেনাবাহিনী। নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী ভোট গ্রহণের আগে, ভোট গ্রহণের দিন ও পরে (২৪ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত) স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকবেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।
এর ধারাবাহিকতায় গতকাল রবিবার দিবাগত রাত থেকেই খুলনায় মাঠে নেমেছে ৯ প্লাটুন সেনাবাহিনী। এর মধ্যে মহানগরে ২ প্লাটুন ও জেলার ৯ উপজেলায় ৭ প্লাটুন মোতায়েন করা হয়েছে ।
এ ব্যাপারে আজ সোমবার সকালে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সোনালী সেন বলেন, নির্বাচনী মাঠে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে খুলনা জেলা ও মহানগরে ৯ প্লাটুন সেনাবাহিনী নেমেছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাঠে নামা সেনাবাহিনী আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত মোতায়েন থাকবে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আদলে এবারও ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কাজ করবেন।
১৩ ডিসেম্বর সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। ওইদিন তিনি বলেন, ‘ইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২৪ ডিসেম্বর সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত মাঠে থাকবে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৮ ডিসেম্বর থেকে সারা দেশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য, ২২ ডিসেম্বর থেকে কোস্টগার্ড সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
আদিকে নাটোর প্রতিনিধি জানান, নাটোরের চারটি সংসদীয় নির্বাচনী আসনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। রোববার দুপুরে বগুড়া সেনানিবাস থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল নাটোরে এসে পৌঁছেছে।
সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি নিশ্চিত করে নাটোরের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহরিয়াজ বলেন, ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাসদস্যরা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকবে।
নাটোরে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে রয়েছেন অধিনায়ক লে. কর্নেল মোস্তফা আরিফ পিএসপি। সোমবার সকাল থেকে সেনাসদস্যরা তাদের কাজ শুরু করবেন।