ভারতের প্রখ্যাত মানবাধিকার কর্মী তিস্তা শীতলাবাদ বলেছেন, অসমে বিদেশি শনাক্তকরণের নামে বৈধ ভারতীয়দের বারবার নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হচ্ছে। কেন্দ্রে এবং অসমে বিজেপি সরকারের আমলে গোটা জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) প্রক্রিয়াকে সাম্প্রদায়িকতার মোড়কে পুরে দেয়া হয়েছে। এনআরসির মধ্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণকে অস্ত্র করে মানুষের মধ্যে বিভাজনের এক কুৎসিত প্রয়াসের বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বিজেপি সরকারের ওই কর্মসূচির জাঁতাকলে পিষে মরতে হচ্ছে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের। অসমের ভাষিক সংখ্যালঘুরাও অন্তহীন দুর্ভোগের মধ্যে আছে। সেজন্য বিদেশি অপবাদে আত্মহত্যা করে মরতে হয় হিন্দু বাঙালিদেরও। ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি হিন্দু বাঙালিকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় হাতকড়া পরিয়ে। তাঁর প্রশ্ন, মানবাধিকারের চরম অপমান এর থেকে বেশি আর কী হতে পারে?
তাঁর মতে, সাধারণ সুবিচার থেকে বিভিন্নভাবে বঞ্চিত হচ্ছে গরীব ও প্রান্তিকস্তরের মানুষজন। এনআরসিতে নাম না ওঠা মানুষদের কীভাবে অনায়াসে ‘উইপোকা’ বলা হয় তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তিস্তা শীতলবাদ।
তিস্তা বলেন, প্রায়ই ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে মৃত্যুর খবর আসে। একজন প্রৌঢ়কেও হাতকড়া পরানো হচ্ছে যা মানবতার লজ্জা! রাষ্ট্র সেই লজ্জা কিভাবে লুকোবে বলেও মানবাধিকার কর্মী তিস্তা শীতলবাদ মন্তব্য করেছেন।