ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আবদ-রাব্বি মানসুর হাদিকে পদ থেকে সরিয়ে দিলেই সংকট কেটে যাবে না বলে মত দিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।তাকে সরিয়ে দিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন দেশটির হুতি বিদ্রোহীরা।
ইয়েমেন যুদ্ধে দুপক্ষ গত বৃহস্পতিবার থেকে সুইডেনে শান্তি আলোচনায় বসেছে। এতে সরকারদলীয় প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন হাদির উপদেষ্টা আব্দুল আজিজ জাবারি।
তিনি বলেন, হুতিরা রাজধানী সানা দখল করে সামনের দিকে এগোতে থাকলে সমস্যার শুরু হয়, হাদির অবস্থান থেকে নয়।
জাবারি বলেন, ২০১৪ সালের সামরিক অভ্যুত্থান থেকেই সংকটের শুরু। যারা আগ্রাসনের মাধ্যমে আমাদের দেশকে দখল করে নিয়েছেন, তাদের কারণেই এ সংকট।
‘কাজেই ক্ষমতার সমীকরণ থেকে হাদিকে সরিয়ে দিলে সমস্যা মিটে যাবে না। বরং বিপরীতে ক্ষমতার জন্য লড়াই অব্যাহত থাকবে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হল- এখানে একটি গোষ্ঠী রয়েছে, যারা আমাদের দেশটাকে ছিনতাই করে নিয়ে গেছে,’ বললেন দেশটির এ সরকারি কর্মকর্তা। ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে এ পর্যন্ত অর্ধ লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া দুই কোটি ২০ লাখ লোককে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
সুইডেনের আলোচনার শুরুতে দুপক্ষের মধ্যে আস্থা বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত মার্টিন গ্রিফিত। বিশেষ করে দুপক্ষের বড়সংখ্যক বন্দি মুক্তি, সানা বিমানবন্দর চালু করা ও হোদাইদাহে অস্ত্রবিরতি নিয়ে আলোচনা।
শুক্রবার অন্তর্বর্তীকালীন নতুন সরকার প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন হুতি বিদ্রোহীদের জ্যেষ্ঠ নেতা আবদুল মালিক আল আজরি। প্রস্তাবে তিনি বলেন, নতুন সরকারে ইয়েমেনের সব পক্ষের প্রতিনিধি থাকবে এবং সবাই অস্ত্র সমর্পণ করবেন।
এ সময় তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে হাদির ভাগ্যে তা হলে কী ঘটবে। জবাবে তিনি বলেন, হাদি যুগ শেষ।