সৌদি আরব ও ৩ মিত্র দেশের অবরোধের পর কাতারে কৃষি ও শিল্পবিষয়ক প্রকল্প দ্বিগুণ হয়েছে। স্থানীয়ভাবে খাদ্য উৎপাদন করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে দেশটি।
গত ২৭ নভেম্বর ভিয়েনায় কাতারের ভারপ্রাপ্ত চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আবদুল্লাহ বিন নাসের আলফাহিদ এ কথা বলেছেন। জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (ইউএনআইডিও) ৪৬তম আসরে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এক বিবৃতিতে আবদুল্লাহ বিন নাসের আলফাহিদ বলেন, কাতারের ‘জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০’ পূরণে কাতার নানামুখী পরিকল্পনা ও প্রকল্প হাতে নিয়েছে। অবরোধের পর নানা খাতে উন্নয়ন কাতারের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি আরো বলেন, গত এক বছরে কাতারে শিল্পকারখানার সংখ্যাও দ্বিগুণ হয়েছে। খাদ্য খাতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে স্থানীয়ভাবে খাদ্য উৎপাদনে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আবদুল্লাহ বিন নাসের বলেন, বর্তমানে কাতার স্থানীয়ভাবে অনেক খাদ্যসামগ্রী উৎপাদন করছে। ডেইরি পণ্যের ৯০ শতাংশই দেশে উৎপাদিত হচ্ছে। এখন দেশের বাইরে এসব পণ্য সামগ্রী রপ্তানি করার পরিকল্পনা রয়েছে। আবদুল্লাহ বিন নাসের জোর দিয়ে বলেন, কাতার তেল ও গ্যাস রপ্তানির ওপর নির্ভরতা ৮৬ শতাংশ থেকে ৫৪ শতাংশে কমিয়ে এনেছে। ‘জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০’ পূরণে এই হার আরও কমিয়ে আনা হবে।
তিনি বলেন, কাতারের বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। এ কারণে আইনও সংস্কার করা হয়েছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ইউএনআইডিওর মহাপরিচালক লি ইয়ংয়ের সঙ্গে কাতারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আলথানির বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। কাতারের ‘জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০’ পূরণে ইউএনআইডিও সহযোগিতা করতে চেয়েছে।