Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৩ মঙ্গলবার, মে ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

খোকাসহ ছেলে-মেয়েদের জামিন না মঞ্জুর করে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০১৮, ০১:৪৪ PM
আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০১৮, ০১:৪৪ PM

bdmorning Image Preview


দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের দায়ের করা মামলায় ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন ও মেয়ে সারিকা সাদেকের আগাম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। তাদের চার সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা না দেয়ার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।

আদালতে খোকার ছেলে-মেয়ের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মো. খুরশীদ আলম খান।

রায়ের পর খুরশীদ আলম খান জানান, আদালত ইশরাক ও সারিকাকে চার সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন। আত্মসমর্পণের পর তারা যদি জামিন আবেদন করেন, তা হলে সে আবেদন আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আদালত।

দুদকের আইনজীবী মানিক জানান, সম্পদের হিসাব জমা না দেয়ার মামলায় জামিন চেয়ে তাদের পৃথক আবেদন আদালত নামঞ্জুর করেছেন। তাদের পৃথক আবেদন নিষ্পত্তি করে চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে বুধবার (২৮ নভেম্বর) পৃথক জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে-২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর দুদক পৃথক দুই নোটিশে ইশরাক হোসেন ও সারিকা সাদেকের নামে এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের স্বনামে/বেনামে বা তাদের পক্ষে অন্য নামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পদ/ সম্পত্তির দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণ সাত কার্যদিবসের মধ্যে দুদকে জমা দিতে বলেন।

কিন্তু তারা সম্পদ বিবরণী জমা দেননি। পরে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শামসুল আলম ২০১০ সালের ২৯ ও ৩০ আগস্ট রাজধানীর রমনা থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন

প্রসঙ্গত, ঢাকা-৬ আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন। তার বাবা সাদেক হোসেন অবিভক্ত ঢাকার মেয়র ছিলেন। বুধবার এক মামলায় সাদেক হোসেনসহ চারজনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হয়।

Bootstrap Image Preview