Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১২ সোমবার, মে ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

আগে ও পরে ১০ দিন থাকবে সেনাবাহিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক-
প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০১৮, ০১:০৭ PM
আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৮, ০১:০৭ PM

bdmorning Image Preview


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের আগে ও পরে মোট ১০ দিন মাঠে থাকবেন সশস্ত্র (সেনা, নৌ ও বিমান) বাহিনীর সদস্যরা। বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা দিতে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তারা কাজ করবেন। এছাড়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ১১ দিন, পুলিশ ও র‌্যাব ৭ দিন, কোস্টগার্ড ৭ দিন ও আনসার সদস্যরা ৬ দিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবে।

মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুকূলে অর্থ বরাদ্দবিষয়ক এক সভায় এমন তথ্য দিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্বাচনে ভোটের আগে ও পরে ১০ দিনের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর নির্দিষ্টসংখ্যক সদস্য মাঠে রাখার বিষয়ে কমিশনের নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

জানা যায়, অর্থ বরাদ্দবিষয়ক সভায় পুলিশ নির্বাচন উপলক্ষে চেয়েছে ৪২৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে গোয়েন্দা কার্যক্রম চালাতেই খরচ হবে ৭৬ কোটি টাকা। অপরদিকে আনসার বাহিনী চেয়েছে প্রায় সাড়ে ৪শ’ কোটি টাকা। বিজিবি চেয়েছে ৭৩ কোটি টাকা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সশস্ত্র বাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। যদিও এ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা খাতে বরাদ্দ ধরা রয়েছে ৪১২ কোটি টাকা। মোট নির্বাচনী বরাদ্দ ৭০২ কোটি টাকা।

এ বিষয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তাদের কত বাজেট সেটা জানতে চেয়েছি। এবার আনসার বাহিনীকে শতভাগ অগ্রিম বরাদ্দ দেব। আর অন্যান্য বাহিনীকে বাজেটের ৫০ শতাংশ অগ্রিম বরাদ্দ দেব। বাকি টাকা পরে সমন্বয় করা হবে।

জানা যায়, এবার সেনাবাহিনীর সদস্যরা ভোটের সাত দিন আগে অর্থাৎ ২৩ ডিসেম্বর মাঠে নামবেন। ভোটের দিন ৩০ ডিসেম্বর ও পরে আরও দুই দিন তারা মাঠে থাকবেন। আর আনসার সদস্যরা ছয় দিন মাঠে থাকার প্রস্তাব করেছেন।

Bootstrap Image Preview