বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ১০ টাকা কেজি দরে ৩৩ বস্তা চাল (৯৯০ কেজি) কালো বাজারে বিক্রয়ের চেষ্টার সময় জব্দ করেছে ইউএনও।
আজ সোমবার বিকেল ৪টার দিকে চালগুলো জব্দের পর স্থানীয় ইউপি সদস্য মোকলেসুর রহমানের হেফাজতে মজুদ রাখা হয়েছে।
খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চিকাশি ইউনিয়নের হতদরিদ্র পরিবারের জন্য ১০ টাকা কেজি দরের ৭৮৭টি কার্ড বরাদ্দ ছিল। সরকারিভাবে ওই ইউনিয়নে চাল বিক্রয়ের জন্য চিকাশি গ্রামের শিপন মন্ডলকে ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। সোমবার নভেম্বর মাসের বরাদ্দকৃত চাল চিকাশি বাজার এলাকায় ডিলালের গুদাম থেকে কার্ডধারীদের মাঝে বিক্রি করেছে। প্রতিটি কার্ডের অনুকুলে ৩০ কেজি করে (১ বস্তা) চাল ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়।
এদিকে কার্ডধারীদের নিকট থেকে ৩৩ বস্তা চাল সুলতানহাটা গ্রামের নাছিম উদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ী কিনেছে। সোমবার বিকেলের দিকে সেই ৩৩ বস্তা চাল কালো বাজারে বিক্রয়ের চেষ্টা করে ব্যবসায়ী নাসিম। সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা চিকাশি বাজার এলাকা থেকে ৩৩ বস্তা চাল জব্দ করেছে। এসময় ব্যবসায়ী নাসিম উদ্দিন কৌশলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছে।
এ বিষয়ে চিকাশি ইউনিয়নের ডিলার শিপন মন্ডল বলেন, কার্ডধারীদের নিকট ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করেছি। ওই ব্যবসায়ী কার নিকট থেকে কিনেছে তা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ী নাসিম উদ্দিন বলেন, কার্ডধারীদের নিকট থেকে উচিৎ মুল্য দিয়ে ৩৩ বস্তা চাল কিনেছি। আমি একা নই, এই চাল আরো অনেক ব্যবসায়ী কিনেছে। তবে এই চাল ক্রয় করা নিষেধের বিষয়টি আমার জানা ছিল না।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অবৈধভাবে ক্রয় করা ১০ টাকা কেজি দরের ৩৩ বস্তা চাল জব্দ করে স্থানীয় ইউপি সদস্যর হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে এই চালগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। বিষয়টি খাতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।