ওয়াজ-মাহফিল ও ধর্মীয় সভার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ও হাটহাজারী মাদ্রাসার সহযোগী মহাপরিচালক শাইখুল হাদিস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। অবিলম্বে তিনি এই বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যথায় দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বাবুনগরী বলেন, মাহফিল এদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে দ্বীনি শিক্ষা প্রচারের অন্যতম মাধ্যম। সাধারণ মানুষ ওয়াজ-মাহফিলে অংশ নিয়ে দ্বীনের মৌলিক শিক্ষা অর্জন করে। নির্বাচনের পরিবেশ রক্ষার নামে নির্বাচন কমিশন ওয়াজ-মাহফিলের ওপর যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে তাতে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ বিস্মিত ও ব্যথিত হয়েছে। এই বিধিনিষেধ ইসলামি শিক্ষা প্রচারে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে বলে আমি মনে করি।
বিবৃতিতে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আরও বলেন, দেশের অন্য কোনো অনুষ্ঠান যেমন গান-বাজনা ইত্যাদির ওপর নির্বাচনকেন্দ্রিক যেমন কোনো কিছুতে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় না। শুধু ওয়াজ মাহফিলের ওপরেই কেন এই বিধিনিষেধ আরোপ? দেশের সাধারণ মুসলমান, উলামায়ে হক্কানি ও দেশপ্রেমিক সচেতন নাগরিকরা এ নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা মনে করেন, এতে মানুষের ধর্মীয় অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ এবং উলামায়ে হক্কানির শরিয়া দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়ার শামিল।
ওয়াজ মাহফিলের মাধ্যমে দেশে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয় এমনটা দাবি করে বিবৃতিতে হেফাজতের এ শীর্ষ আলেম বলেন, নির্বাচনের সঙ্গে তো এর কোনো সংঘর্ষ নেই। নির্বাচনের পরিবেশের ওপর ওয়াজ-মাহফিলের নেতিবাচক কোনো প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করলে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী আচরণ বিধি সংযুক্ত করে নির্দেশনা জারি করতে পারতেন। যেমন, ওয়াজ-মাহফিলে রাজনৈতিক আলোচনা বা মাহফিলে এসে কোনো প্রার্থীর রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়া বা ভোট চাওয়ার ওপর বিধিনিষেধ আসতে পারে। কিন্তু কোনো প্রকার বাছ-বিচার ছাড়াও এখন থেকেই সব ধরনের ওয়াজ-মাহফিল ও ধর্মীয় সভার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন অনেকেই।
আল্লামা বাবুনগরী বলেন, আমি এই নির্দেশনার তীব্র প্রতিবাদ ও তা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। নতুবা বাংলার ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।