একটা কথা বহুল প্রচলিত হয়েছে- ‘মানুষ মরলেও এখন মানুষের দিকে ফিরে তাকায় না’। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে মানুষ খুব বেশিই ঝুঁকে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। কোন একটি মর্মান্তিক ঘটোনার স্থানে দাঁড়িয়ে সেলফি নিয়ে তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন তারা। মানুষ মারা যাচ্ছে সেখানে দাড়িয়েও মানুষ তুলছেন সেলফি!
বুধবার (১৪ নভেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনাস্থলে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে আগুনে ঝলসে যাওয়া পরিত্যক্ত অবস্থায় দুইটি গাড়ি পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেই গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলেন এক নারী!
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজেনরা ছবি পোস্ট করে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করছেন। যার বেশিরভাগই সমালোচনাসূচক।
একজন বলছেন, ‘সামনে যা পাওয়া যায় তার সব যেমন খেতে নেই, তেমননি চোখের সামনে পড়া সব দৃশ্যের সেলফি তুলতে নেই। এক্ষেত্রে ঘটনা প্রেক্ষাপট বিবেচনা করা উচিত।‘
আরেকজন ছবিতে মন্তব্য করেন, ‘সেলফি তোলার প্রচলন কোনো সাংঘর্ষিক কিংবা কারও আবেগ-অনুভূতিকে আঘাত হানার জন্য নয়। অবশ্যই এর দৃষ্টিকটু দিকটা এড়িয়ে চলা উচিত।‘