মো. সবুজ খান।।
হঠাৎ চেনা শহরটাকে অচেনা মনে হচ্ছে
শহরের আত্মার সাথে দূরত্বটা বেড়ে গেছে বহুগুণ
অনেকটা পথ হেটে এসেছি, একটু বিশ্রাম দিবে?
এই পথের কাঙ্গালকে তাড়িয়ে দিও না এক্ষনি!
তোমার কি মনে নেই?
শত নিস্তব্ধতার মাঝে তুমি ছিলে প্রণবঞ্চ
শত অন্ধকারের মাঝে তুমি দেখতে আলোর দিশা
তীব্র স্রোতের বিপরীতে বহমান রেখেছিলে তরী
শত ঝড়-ঝঞ্চাকে তাড়িয়ে দিয়েছিলে হাতের ইশারায়
শত পাপিষ্ঠ আত্মাকে বিনাশ করেছিলে তোমার কোমল ছোয়ায়
তোমার মুখের একটা কোথা উল্টে দিয়েছিল পৃথিবীটাকে
তোমার কি মনে পড়ে না?
তোমাকে দেখে জমাট বাঁধা সামান্য পানি থেকে জন্ম নিয়েছিল মহাসমুদ্র
তোমাকে দেখে মলীন পৃথিবীটা ফিরে পেয়েছিল চিরযৌবন
তোমাকে দেখে শত অন্ধ পথিক পেয়েছিল আলোর দিশা
তোমাকে দেখে খাঁচায় আবদ্ধ পাখিটাও কথা বলেছিল সেদিন
তোমার কি মনে নেই?
তোমার ডাকে জেগে উঠেছিল মৃত নগরীটা
তোমার ডাকে প্রাণ ফিরে পেয়েছিল নিদ্রাস্নাত জোৎস্না
তোমার ডাকে সাড়া দিয়েছিল অন্তরের অন্থষ্ঠলে থাকা হৃদয়টা
তোমার কি সত্যি মনে নেই সেদিনের কথা?
আমার মনে আছে সকল কথা
রেখেছি বুক ভোরে ক্লান্তির আকাশ
তোমাকে দিয়েছি এক মুঠো মুক্ত বাতাস
তোমার শহরে বারবার ছুঁটে আসি
কারণ, আমি হেমনলিনীকেই ভালোবাসি
লেখকঃ মো. সবুজ খান
শিক্ষার্থী, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ