শহরগুলোর সাংস্কৃতিক সৌন্দর্যকে শহরবাসীর সামনে উপস্থাপনের লক্ষ্যে শিল্পের শহর কর্মসূচি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে অক্টোবর মাসে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে ১০টি স্থানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। শিল্পের শহর কর্মসূচি বিভাগ থেকে এবার জেলা শহরে সম্প্রসারিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে জেলা পর্যায়ে শিল্পের শহর কর্মসূচি। এই কর্মসূচির আওতায় ৬৪টি জেলার প্রত্যকেটিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর পরিকল্পনায় শহরবাসীকে নির্মল ও রুচিশীল বিনোদন উপহার দিয়ে মানুষের মাঝে শিল্পের বোধ ছড়িয়ে দিতে দেশজুড়ে বছরব্যাপী শিল্পের শহর সাংস্কৃতিক র্কাযক্রমের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি জেলা শহরেরই নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে। রাজধানী ঢাকা, বিভাগীয় শহরসহ সকল জেলা শহরের নেতিবাচক অভিব্যক্তি দূরীভূত করে প্রতিটি জেলা শহরকে শিল্পচর্চার নান্দনিক নগরী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের লক্ষ্য। সাধারণ মানুষের সাথে শিল্পের সংযোগ সাধনের লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি শহরে পর্যায়ক্রমে শিল্পের বিভিন্ন অনুষঙ্গ উপস্থাপনের মাধ্যমে এই কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুলাই লিয়াকত আলী লাকী বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শিল্পের শহর ঢাকা কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়। শিল্পী মাহবুবুর রহমান-এর পরিচালনায় ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ১৫ জন শিল্পীর পারফর্মেন্স আর্ট পরিবেশনার মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
শিল্পের শহর কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এবং বুড়িগঙ্গা নদীতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বাউল দলের পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। এ পর্যায়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির অ্যাক্রোবেটিক দলের পরিবেশনায় ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এছাড়াও ঢাকা হবে শিল্পের শহর, ঢাকা হবে বিশ্বের অন্যতম নান্দনিক নগরী স্লোগানে ৫ ও ৬ অক্টোবর ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে শিল্পের শহর ঢাকা কর্মসূচি।