চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধ বিশ্বজুড়ে সহসাই একটি মন্দা ডেকে আনতে পারে বলে মনে করেন ল্যাজার্ড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ইউএস ইক্যুয়িটি প্রধান রোনাল্ড টেম্পল। তিনি বলেন, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ, কানাডা ও ইউরোপের সঙ্গে হিমশীতল সম্পর্ক। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার বৃদ্ধি। সব মিলিয়ে ২০২০ সালে আমরা একটি মন্দা পেতে পারি।
সিএনএন বিজনেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদী নীতি অর্থনীতিকে গভীরভাবে মন্থর করে দিতে পারে। বিশেষ করে বাণিজ্য যুদ্ধের সঙ্গে যোগ হয়েছে সুদের হার বৃদ্ধির বিষয়টি।
টেম্পল বলেন, অদূর ভবিষ্যতে একটি মন্দা অবশ্যম্ভাবী নয়, তবে ২০২০ সাল নাগাদ একটি মন্দা হওয়ার ঝুঁকি গত কয়েক মাসে তৈরি হয়েছে। টেম্পল বলেন, যদি বিশ্ব বাণিজ্য স্থিমিত হয়ে যায় তবে মন্দার ঝুঁকিও উল্লেখযোগ্যহারে কমে যাবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র মনে হচ্ছে চীন সম্পর্কে বাস্তবতার চেয়ে অনেক বেশি হিসাব কষছে। এ বাণিজ্য যুদ্ধে চীনের সামনে একাধিক পথ খোলা রয়েছে কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অবস্থান দীর্ঘ মেয়াদে অচলাবস্থা তৈরি করে দিতে পারে।
বাণিজ্য যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে টেম্পল বলেন, চীনের মেধাস্বত্ব চুরির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র অন্যদের নিয়ে সমন্বিতভাবে ভূমিকা রাখতে পারত। বিশেষ করে এ ব্যাপরে ইউরোপ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং বাকি উন্নত বিশ্বকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র একটি ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখতে পারত, যা হতো অত্যন্ত কার্যকর। সে ক্ষেত্রে চীন নিজেকে পরিবর্তন করার কথা ভাবত। তিনি বলেন, সম্প্রতি মেক্সিকো ও কানাডার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন যে চুক্তি হয়েছে তাতে বাণিজ্য সমস্যার খুব বেশি সমাধান হবে বলে মনে হয় না। এ ক্ষেত্রেও অনেক সমস্যা রয়ে গেছে।
টেম্পল ছাড়াও বাণিজ্য যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আরো অনেক অর্থনীতিবিদ। চার্লস স্কওয়েবের বৈশ্বিক বিনিয়োগ প্রধান জেফরে ক্লিনটপও বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে যে অনিশ্চয়তা শুরু হয়েছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। নর্দান ট্রাস্ট ওয়েলথ ম্যানেজমেন্টের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা ক্যাটি নিক্সন বলেন, চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধ চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর সঙ্গে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার বৃদ্ধির বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে বিপদগ্রস্ত করতে পারে।