আলোচিত কলেজছাত্র মনির হোসেন হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও এক জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মো. শহীদুল আলম ঝিনুক এই রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের বাদশা মিয়া, সিংগাইর উপজেলার ভাটিরচর গ্রামের লাল মিয়া, গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার কোশলা গ্রামের আজগর চৌধুরী ও দিনাজপুরের আওলিয়াপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন। তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি নারায়ণগঞ্জের কালিয়ারচর হাজিরটেক গ্রামের আকতার হোসেন জামালকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে বাদশা মিয়া ও লাল মিয়া উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক রয়েছে। এ ছাড়া মামলার অপর তিন আসামি শুকুর আলী, আলম ও মাসুদকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের পরোশ আলীর একমাত্র ছেলে খান বাহাদুর আওলাদ হোসেন ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মনির হোসেনকে চাচাতো চাচা বাদশা মিয়া সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে সাভারে নিয়ে যায়। পরে তাকে লুকিয়ে রেখে পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে পরের দিন আসামিরা মনিরকে হাত-পা বেঁধে সাভারের বংশী নদীতে ফেলে হত্যা করে। ১১ সেপ্টেম্বর মনিরের মা মালেকা বেগম বাদশা মিয়াসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ বাদশা মিয়াকে গ্রেফতার করে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী দুদিন পর নদী থেকে মনিরের লাশ উদ্ধার করে। পরে পর্যায়ক্রমে আরও ছয়জনকে আটক করা হয়। সে সময় পলাতক থাকে আরও দুই জন। আটককৃতরা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে মনিরকে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জজকোর্টের পিপি আবদুস সালাম এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আর আসামিপক্ষের আইনজীবী শিপ্রা সাহা উচ্চ আদালতে রায়ের আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন।