সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় বিনোদনের খোরাক জুগিয়েছে ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা। দীর্ঘদিন পরে এ লাঠি খেলা দেখতে জনতার ঢল নামে মাঠে।
গত বুধবার (১৭ অক্টোবর) বিকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফজলুর রহমান তালুকদার চুন্নু নৌকার পক্ষে প্রচারণা করতে এলাকার মানুষকে বাড়তি আনন্দ দেওয়ার জন্য এ আয়োজন করেন।
কিছুদিন আগেও গ্রামাঞ্চলে এই লাঠি খেলাটি বেশ আনন্দের খোরাক জুগিয়েছে। মানুষের হৃদয়ে ঠাই করে নিয়েছিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। দুরদুরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসত এ খেলা দেখার জন্য ৷কিন্তু বিজ্ঞান প্রযুক্তির চাপে অতীতের এ খেলা বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলা থেকে৷
খেলায় আগত স্থানীয় ইউপি সদস্য মির্জা সেলিম জানান, খেলা দেখতে খুব ভালো লাগে আর শিশুসহ সর্ব মহলের মানুষ আনন্দ পায় তাই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় লাঠি খেলা চালু করা প্রয়োজন।
জানা যায়, বৈশালী, পাশের বাড়ি, পিড়ি পাইট, রেনিময়, মধ্যবাড়িসহ বিভিন্ন রকমের লাঠি খেলা গ্রামগঞ্জে এক সময় ব্যাপক ভাবে প্রচলিত ছিল ৷শারীরিক কসরত প্রদর্শন ও নিজেদের আত্মরক্ষার্থে বহুকাল থেকেই এ খেলার প্রচলন। একজন ওস্তাদের নির্দেশে কখনো এককভাবে কখনো দু'দলে ভাগ হয়ে আবার কখনো সবাই একত্রে মিলে লাঠি খেলা দেখানো হতো। কিন্তু বর্তমানে তা বিলুপ্তির পথে। টাঙ্গাইলের নাগরপুর সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর পূর্ব দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় মাঝে মাঝে এখনো এ খেলা দেখা গেলেও তা ক্ষণিকের জন্য। এ খেলার পুরনো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা অর্থের অভাবে খেলাটি প্রসার করতে পারছেনা ৷ফলে এই খেলাটিতে দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছেন তারা। তাই নির্মল বিনোদনের খোরাক আর গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা আর সচরাচর চোখে পড়ে না ৷
খেলোয়াড় লেবু সরদার বলেন, ‘অনেক সময় বিপদের সম্মুখীন হলে তা থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এ খেলা জানা থাকলে৷ শত্রুপক্ষের হাত থেকে খালি হাতেও বেঁচে আসা সম্ভব। তাছাড়াও শারীরিক কসরতে এ খেলাটি একটি অন্যতম ব্যায়াম।’
স্থানীয় সমাজ সেবক আরদোশ আলী তালুকদার বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার এই খেলাটি অবিলম্বে সরকারি ও বেসরকারিভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করে পুনঃরায় চালু রাখার দাবি জানান ৷