শীতের দেখা কবে মিলবে? তা এখন তর্ক সাপেক্ষ বিষয়। যদিও হাওয়া অফিসের কর্তাদের অনুমান খুব শিগগিরিই দেখা মিলবে তার। সকাল-বিকেল অবশ্য একটু শিরশিরানিও অনুভব করা যাচ্ছে। আর এতেই মিলছে গুড়ের আগমন বার্তা।
খেজুর গাছে শুরু হয়ে গিয়েছে রসের হাড়ি বাঁধা। এই রসই রূপান্তরিত হবে পরিশুদ্ধ গুড়ে। কিন্তু তা কতটা আপনার কাছে এসে পৌঁছবে? পৌঁছলেও বা চিনবেন কেমন করে?
১) গুড় কেনার সময় তা অবশ্যই চেখে দেখবেন। যদি তাতে একটু নোনতা স্বাদ পান তাহলেই বুঝবেন অন্য কিছু মেশানো রয়েছে তাতে। আর এমন গুড় যত পুরনো হবে তাতে নুনের মাত্রা তত বেশি হবে।
২) যদি গুড়ের স্বাদ একটু তেতো হয় তাহলে বুঝবেন সেই গুড় বেশি ফোটানো হয়েছে। আর তাতে অন্য শর্করা মেশানো হয়েছে।
৩) গুড় কেনার সময় খেয়াল করবেন তার কিছু অংশ স্ফটিকের মতো কিনা। যদি গুড়ে স্ফটিকের মতো অংশ থাকে তাহলেই বুঝতে হবে তা বাড়তি মিষ্টি করার জন্য অন্যকিছু মেশানো হয়েছে।
৪) গুড় কেনার সময় তাঁর রং অবশ্যই দেখে নেবেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দর্শনেই গুণ বিচার করা যায়। শুদ্ধ গুড়ের রং গাঢ় বাদামি হয়ে থাকে। হলদেটে গুড় দেখলেই বুঝবেন তাতে রাসায়নিক মেশানো হয়েছে।
৫) গুড়ের ডেলাটি একটু টিপে দেখে নেবেন। গুড় যত শক্ত হবে, ততই ভাল। শক্ত গুড়ে অন্যান্য সামগ্রী মেশানোর সম্ভাবনা প্রায় থাকে না বললেই চলে।
শীতে মুখ মিষ্টি করার অনেক উপায় রয়েছে এ কথা সত্য। তবে এ কথাও সত্য যে বাঙালির কাছে গুড়ের কোনও বিকল্প নেই। বিশেষ করে গরম ধোঁয়া ওঠা পিঠের সঙ্গে। তাই বেছে খান। আর সেরাটা পান।