আর একদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বর উৎসব শারদীয়া দূর্গা পূজা। আর পূজা মানেই ভরপেট খাওয়া দাওয়া। আর পেট পূজায় যদি না থাকে চিংড়ি পদ তাহলে পুরো পূজাই মাটি।
ভোজনরসিকদের কাছে চিংড়ির কদরই আলাদা! ডাব চিংড়ি, পোস্ত চিংড়ি, মালাই চিংড়ির মতো লোভনীয় পদ সামনে পেলে কী আর ছাড়া যায়! চিংড়ির নানা মুখরোচক জনপ্রিয় পদের মধ্যে অন্যতম, চিংড়ির কালিয়া। রেসিপি জেনে বানিয়ে ফেলুন চিংড়ির কালিয়া। আর ঘরোয়া দাওয়াত জমে উঠুক চিংড়ির কালিয়া আর পোলাও-এর যুগলবন্দিতে।
চিংড়ির কালিয়া বানাতে লাগবে:—
চিংড়ি মাছ (মাঝারি বা বড়): ১২ থেকে ১৫টি,
আলু: ৩-৪টি (লম্বালম্বি কাটা),
কাঁচালঙ্কা: ৪টি
লবঙ্গ: ২-৩টি
তেজপাতা: ২টি,
পিঁয়াজ কুচি: ২ কাপ,
আদা বাটা: ১ চা চামচ,
টম্যাটো কুচি: ২টি ছোট,
এলাচ: ২-৩টি,
দারচিনি: সামান্য,
হলুদগুঁড়ো: ২ চা চামচ,
লাল লঙ্কার গুঁড়ো: স্বাদ অনুযায়ী,
নুন: স্বাদ অনুযায়ী,
চিনি: ১ চা চামচ,
সরষের তেল: আন্দাজ মতো,
গরম মশলা গুঁড়ো: ১ চা চামচ,
লেবুর রস: ২ চা চামচ।
চিংড়ির কালিয়া বানানোর পদ্ধতি:—
প্রথমে চিংড়ি মাছ ভাল করে ধুয়ে নিন। অল্প হলুদ, লেবুর রস ও অল্প নুন দিয়ে মেখে ম্যারিনেট করে রেখে দিন ১০-১৫ মিনিট। এ বার একটি কড়ায় তেল গরম করে তাতে আলুগুলো অল্প নুন-হলুদ দিয়ে ভেজে তুলে রাখুন। এর পর ম্যারিনেট করা চিংড়িগুলো ভাল করে ভেজে তুলে রাখুন।
এ বার কড়ায় সরষের তেল গরম করে তাতে গোটা গরম মশলা ফোড়ন দিন। পিঁয়াজ কুচি যোগ করুন। পেঁয়াজ হালকা সোনালি রঙের হওয়া পর্যন্ত নেড়েচেড়ে নিন। এর পর এতে কাঁচা লঙ্কা কুচি ও আদা বাটা যোগ করে আবার নাড়তে থাকুন। এ বার এতে হলুদ গুঁড়ো, লাল লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে কষতে থাকুন। যাঁরা ঝাল খান না, তাঁরা লঙ্কা দেবেন না। রান্নার মাঝে মাঝেই অল্প জলের ছিটে দিন যাতে মশলা লেগে না যায়।
দু’মিনিট পর টম্যাটো কুচি দিয়ে আবার নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না মশলা থেকে তেল ছাড়ছে। এ বার এতে আগে থেকে ভাজা আলু ও চিংড়ি মাছ দিয়ে দিন। অল্প নেড়ে প্রয়োজন মতো জল, নুন ও চিনি দিয়ে কড়া ঢাকা দিন। ঢিমে আঁচে রান্না করুন।
১০-১২ মিনিট পর অল্প গরম মশলা আর সামান্য ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। এ বার পরিবেশন করুন জিভে জল আনা চিংড়ির কালিয়া।