Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ সোমবার, মে ২০২৫ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রতিমা ভাংচুর ও জমি দখলের প্রতিবাদে হিন্দুদের বিক্ষোভ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৪৭ PM
আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৪৭ PM

bdmorning Image Preview


দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক প্রতিমা ভাংচুর, জমি দখল, কুপিয়ে হত্যা প্রচেষ্টার প্রতিবাদে ও অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ছাত্র মহাজোট ও ঢাকাস্থ পিরোজপুর জেলার সর্বস্তরের হিন্দু জনসাধারণের উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

হিন্দু ছাত্র মহাজোটের আহ্বায়ক প্রশান্ত হালদার সভাপত্তিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি অ্যাড. দীনবন্ধু রায়, মহাসচিব অ্যাডঃ গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, সিনিয়র সহ সভাপতি ড. সোনালী দাস, ডা. এম কে রায়, সুভাষ সাহা, প্রদীপ পাল, রামকৃষ্ণ সাহা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক রিপন দে, ছাত্র সম্পাদক প্রভাষক সুমন সরকার, হিন্দু যুব মহাজোটের সভাপতি কিশোর বর্মন, সাধারণ সম্পাদক মিল্টন বসু, নিউটন পণ্ডিত, প্রবীর সরদার, হিন্দু ছাত্র মহাজোটের আহ্বায়ক প্রশান্ত হালদার, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজেন কৃষ্ণ বল, সদস্য সচিব হরে কৃষ্ণ বারুরী, তপু কুন্ডু, জীবন রায়, স্বপন মধু, প্রণব হালদার, প্রসেঞ্জিৎ শীল, পিরোজপুর জেলার পক্ষ থেকে মৃণাল কান্তি মিস্ত্রি, হিমাদ্রী শেখর মন্ডল, ইঞ্জিনিয়ার সুরঞ্জিত মৃধা, সুদেব মৃধা, সুমন কুমার মণ্ডল, রঞ্জিত মণ্ডল, পার্থ প্রতিম মজুমদার গৌতম কুমার এদবর, পুলক ঘরামী প্রমূখ।

বক্তাগণ বলেন, এই কয়েকদিনের মধ্যেই পিরোজপুর, গাজীপুর, দিনাজপুর, নিলফামারীপুর, শরিয়তপুর, কুড়িগ্রাম, শেরপুর, নারায়নগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, চাদপুর, কারমাইকেল কলেজ সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা ও বিগ্রহ ভাংচুর লুঠতরাজ, ভক্তদের কুপিয়ে হত্যা প্রচেষ্টা, হিন্দু জন সাধারণের প্রাণ নাশের হুমকীর প্রতিবাদে বগুড়া, পঞ্চগড়, দিনাজপুরে হিন্দুদের ধর্মীয় চেতনায় আঘাত করার জন্য গরুর মাংস খাওয়ানো হয়েছে।

পিরোজপুরে জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে মন্দির ভাংচুর ও লুঠতরাজ হয়। প্রতিবাদ করলে ৩ জনকে কুপিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়।

এছাড়া জমি দখলের উদ্দেশ্যে চাদপুরে হিন্দু বাড়ীর উঠানে গরুর মাথা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। অথচ বরাবরের মত অপরাধীদের গ্রেফতার ও শাস্তি বিধান করতে সরকারের কোন গরজ নাই। বক্তাগণ আরো বলেন দেশে এক ত্রাসের রাজত্ব চলছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে সর্বত্র আতঙ্ক বিরাজ করছে। হিন্দু সম্প্রদায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন যাপন করছে। দেশের কোথাও শান্তিপূর্ণ বসবাসের পরিবেশ নাই।

বক্তগণ দূর্গা পুজায় ৩ দিনের সরকারি ছুটি, জাতীয় সংসদে ৫০টি আসন সংরক্ষণ ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পূনপ্রতিষ্ঠা ও  সকল হিন্দু নির্যাতকদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও শাস্তি বিধান না করলে বা গড়িমসি করলে আগামী সংসদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে। 

Bootstrap Image Preview