২০০৯ ক্যাথরিনের সঙ্গে রোনালদোর শারীরীক সম্পর্ক হয়েছিল দু’পক্ষের সম্মতিতেই। অর্থাৎ ক্রিশ্চিয়ানোর বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, এমনটাই দাবি করলেন রোনালদোর আইনজীবী।
পর্তুগিজ ফুটবল তারকা রোনালদোর বিরুদ্ধে যে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছিল, তা সম্পূর্ণ সাজানো এবং মিথ্যা। এই মর্মে রোনালদোর আইনজীবী পিটার এস ক্রিশ্চিয়ানসেন একটি বিবৃতিতে জানান, লিকস নামক ওয়েবসাইট এবং জার্মান এক ম্যাগাজিনে রোনালদোর বিরুদ্ধে ক্যাথরিনের যে সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছিল, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ক্যাথরিনের সঙ্গে যৌনমিলনে ক্রিশ্চিয়ানো লিপ্ত হয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু তা দু’পক্ষের সম্মতিতেই।
সপ্তাহ দুয়েক আগে রোনাল্ডোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন মার্কিনি এক তরুণী। ‘দেয়া স্পিগে’ নামক জার্মান এক ম্যাগাজিনে মার্কিনি তরুণী ক্যাথরিনের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। যেখানে ওই তরুণী দাবি করেছিলেন, ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে একটি হোটেলে তাঁকে ধর্ষণ করেন রোনালদো। এরপর থেকেই ফুটবল তারকার সঙ্গে ওই মার্কিনি তরুণীর সম্পর্ক নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয় ফুটবল মহলে। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে এই অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দেন রোনাল্ডো।
ধর্ষণ ইস্যুতে একটি শীর্ষ সংবাদমাধ্যম দাবি করে, ২০০৯ রোনালদো তাঁর শ্যালক ও এক ভাইকে নিয়ে লাস ভেগাসে বেড়াতে যান। সেখানে একটি নাইট ক্লাবে ক্যাথরিনের সঙ্গে যৌন সংসর্গে লিপ্ত হন তিনি।তাঁর অনিচ্ছা সত্ত্বেও এই ঘটনায় জড়িয়ে পড়ায় টাকার বিনিময়ে ক্যাথরিনের মুখ বন্ধ করতেও উদ্যত হয়েছিলেন রোনাল্ডো। ক্রিশ্চিয়ানোর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কারণে পর্তুগাল জাতীয় শিবির থেকেও বাদ পড়তে হয়েছে পর্তুগিজ সুপারষ্টারকে। তবে এবিষয়ে ক্রিশ্চিয়ানোর পাশেই দাঁড়িয়েছে তাঁর নতুন ক্লাব জুভেন্টাস।