কাজের চাপ, দুশ্চিন্তা ও ঋতু পরিবর্তন আপনার ত্বকে এঁকে দিচ্ছে বলিরেখা, হারিয়ে যাচ্ছে তারুণ্য, বুড়িয়ে যাচ্ছে ত্বক। বাজারে রয়েছে নানা ধরনের অ্যান্টিএজিং সৌন্দর্যপণ্য।
কিন্তু রাসায়নিক পণ্য এড়িয়ে যদি ত্বকের সুস্বাস্থ্যে গড়ে তোলা যায় দৈনন্দিন অ্যান্টিএজিং কিছু অভ্যাস, তাহলে উপকৃত হবেন আপনিই!
নিয়মিত স্ক্র্যাব-
ত্বকের মরা কোষ দূর করতে প্রথমেই যা প্রয়োজন, তা হলো নিয়মিত স্ক্র্যাব করা। চিনি ও মধু প্রাকৃতিক স্ক্র্যাব হিসেবে ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। স্ক্র্যাব ত্বকের রঙ উন্নত, জীবাণুমুক্ত ও পলিশ করে। আর চিনির দানা ত্বকের মরা কোষ অপসারণ করে ত্বককে রাখে তারুণ্যদীপ্ত।
প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট-
ভিটামিন ই, সি ও সেলেনিয়ামকে বলা হয় অ্যান্টিএজিং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন ই প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে ও কোলাজেন উত্পাদন বাড়ায়। ভিটামিন ই পাওয়া যাবে আমন্ড, সূর্যমুখীর বীজ ও কুমড়োর বিচিতে। অবশ্য ভিটামিন সি কোলাজেন উত্পাদনে শক্তিশালী ভূমিকা রাখে। অন্যদিকে ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় সেলেনিয়াম পাওয়া যাবে মাছ, বাদামি চালের ভাত, সবুজ শাকসবজি যেমন— ব্রোকলি ও বাঁধাকপিতে।
কড়া সূর্যরশ্মি এড়িয়ে-
সূর্যের আলোয় যে ভিটামিন ডি থাকে, তা শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। তবে কড়া সূর্যরশ্মি ত্বকের বলিরেখা, দাগ ও ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। বয়স চল্লিশের পর এমনিতেই ত্বকের কোলাজেন ও এলাস্টিক টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে, ফলে ত্বকের পরিবর্তন দেখা দেয়। সূর্যরশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষা দিতে পারলে বেশ খানিকটা ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব।