রিকশা যোগে গন্তব্যে ফিরছিলেন এক তরুণী। নিউমার্কেট বলাকা সিনেমা হলের সামনে পৌঁছল রিকশাটি। হঠাৎ রিকশা থেকে তার মোবাইলটি ছিনিয়ে নিয়ে সাইন্সল্যাবের দিকে দৌড় দেয় এক ছিনতাইকারী। কোনো কিছু না ভেবেই ছিনতাইকারীর পিছু দৌড় দেয় ওই তরুণীও। আধা কিলোমিটারেরও বেশি এলাকা দৌড়ানোর পর ওই ছিনতাইকারীকে লাথি দিয়ে ফেলে দেন। তারপরই শুরু হয় রাস্তায় ফেলে মার। আর এই দৃশ্য ধারণ করে কেউ একজন ছেড়ে দেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এবং রাতারাতি তা হয়ে যায় ভাইরাল।
ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঘটে। ওই তরুণীর নাম তাসমিত আফিয়াত আর্নি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার আজিমপুর থেকে ধানমন্ডিতে কেনাকাটা করতে আসেন তাসমিত আফিয়াত আর্নি। কেনাকাটা শেষে রিকশায় করে আজিমপুরের দিকে রওনা হন। পথে এক ছিনতাইকারী তার মোবাইলটি ছিনিয়ে নিয়ে দৌড় দিলে তিনিও দৌড়ে গিয়ে তাকে ধরেন। পর রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটান তিনি। রাস্তায় ফেলে কিলঘুষি মারতে থাকলে ছিনতাইকারী ওই তরুণীর পা ধরে মাফ চায়। পরে আশপাশের লোকজন এসেও তাকে আরও মারধর করে।
ঘটনার বর্ণনা করে আর্নি বলেন, ‘আমি ছিনতাইকারীকে ধরে রিকশায় তুলে থানায় নিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু নীলক্ষেত মোড় পার হওয়ার সময় দুইজন এসে বলেন আপনি ওকে ধরে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন। তখন আমি বলি ওকে থানায় নিয়ে যাচ্ছি; ওকে আরো মারব, মামলা দেব। তখন ওই দুইজন বলেন- আমরা ঢাকা কলেজের স্টুডেন্ট, এই ছিনতাইকারীদের একটা গ্রুপ আছে। তারা প্রায় ছিনতাই করে। আমরা তাদের গ্রুপটা ধরব। আপনি ওকে থানায় না নিয়ে আমাদের কাছে দিয়ে দেন। এই বলে তারা ছিনতাইকারীকে নিয়ে যায়।’
সেদিনেই ওই ঘটনার ভিডিও কেউ ফেসবুকে আপলোড করেন। এরপর ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। মঙ্গলবার পর্যন্ত ভিডিওটি দেখেছেন ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট সন্ধ্যায় রিকশায় বনশ্রীর বাসা থেকে জুরাইন যাবার পথে ছিনতাইকারীর কবলে পরে মোবাইল ও ভ্যানিটি ব্যাগ হারান অন্তরা রহমান নামে এক নারী আইনজীবী। এ সময় তিনি ছিনতাইকারীর পিছু নেন। পরে একটি চলন্ত বাসে উঠে ছিনতাইকারীকে ধরে মারধর করে থানায় নিয়ে যান। পরে ওই নারী আইনজীবীকে পুরস্কৃত করেছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ।