নাটোরের সিংড়ায় টার্কি মুরগী পালনে ঝুঁকছে বেকার যুবকরা। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে টার্কি চাষ করা হচ্ছে। মুরগী পালনে স্বল্প ব্যয়ে অধিক লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে বেকারদের জন্য। সিংড়ায় বিভিন্ন এলাকায় বুলবুল, আরিফুল, মানিক, রাসেলসহ যুবকরা ঝুঁকছে পড়ছেন এ মুরগী পালনে।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, উত্তর দমদমা মহল্লায় টার্কি চাষ করছেন আব্দুল করিম ও ফেরদৌস রহমান নামে দুই যুবক। তারা চার মাস আগে পালনের সিদ্ধান্ত নেন। অনলাইন থেকে তথ্য নেন এরপর তারা যাদের খামার রয়েছে সেসব খামার পরিদর্শন করে নিজেরা টার্কি মুরগী পালন শুরু করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তারা নিজ বাড়ির আঙিনায় টিনশেডের ঘর করে টার্কি পালন করছেন। বর্তমানে তাদের খামারে ৬৩ টি টার্কি রয়েছে। টার্কির পরিচর্যা করছেন আব্দুল করিম ও ফেরদৌস।
তারা বিডিমর্নিংকে জানান, প্রথমে শখের বশে শুরু করেছিলাম কিন্তু পরবর্তীতে বুঝতে পারলাম এই মুরগী পালন করে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব তারপর থেকে দুই বন্ধু পুরোদমে শুরু করি।
টার্কি ৬ মাস বয়স হলে ডিম পারবে, একটানা নয় মাস ডিম পারবে। ১০ মাস বয়সের মুরগী ৫/৭ কেজী এবং মোরগ ২০ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়।
১ মাস বয়সী বাচ্চা তারা ৫০০ টাকা পিস কিনে শুরু করেন। ভবিষ্যৎ এ তারা টার্কির ডিম সংরক্ষণ করে বাচ্চা ফুটিয়ে খামার সংখ্যা বাড়ানোসহ এলাকার চাহিদা মেটাতে কাজ করবেন বলে জানান।
তারা আরও জানান, মুরগী পালনে স্বল্প ব্যয়ে অধিক লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে বেকারদের জন্য। এ মুরগী গরমে ভালো থাকে। দিনে দু বার খাবার দেয়া হয়। বাজারে এ মুরগীগুলো বিক্রি হয় চার শত টাকা কেজি। ভবিষ্যতে লাভবান হলে ব্যবসার পরিধি বাড়াবেন। বর্তমানে তাদের খামারে ৪০ টি মুরগী, ২৩ টি মোরগ রয়েছে।
এছাড়াও ইটালী ইউনিয়নের দেঁওগাছা গ্রামে বুলবুল আহমেদ নামের এক যুবক ১০০টি টার্কি মুরগি দিয়ে খামার শুরু করেছে।
জানা যায়, বগুড়ার রনবাঘাতে টার্কির বড় খামার রয়েছে, বগুড়ায় হ্যাচারী রয়েছে সেখান থেকে অনেকে বাচ্চা সংগ্রহ করে পালন শুরু করেছেন। গাছ, লতা, পাতা, ভাত, গম সব রকম খাবার খায়, তবে আলাদা ভাবে ফিড দেয়া হয়। এই মুরগীর মাংস সুস্বাদু ও পুষ্টিকর।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ গৌরাঙ্গ তালুকদার জানান, সিংড়ায় টার্কি পালনের জন্য তারা প্রশিক্ষন দিচ্ছেন, তাছাড়া আগ্রহী যুবকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।