পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ইউরিয়া সারের সংকটে কৃষকদের মধ্যে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। ৩/৪ দিন ধরে সারের এ সংকট দেখা দিয়েছে।
কৃষকরা বলছে, আমন ধানের বীজ রোপন সবেমাত্র শেষ করেছেন। বর্তমান আবহাওয়া জমিতে সার প্রয়োগের উপযোগী সময়। ফলে কৃষকদের মধ্যে সার সংকটে বিরাজ করছে হতাশা। কৃষি অফিস বলছে ২-৩ দিনের মধ্যে এ সংকট কেটে যাবে। এদিকে চাহিদা মতো সার না পাওয়া নিয়েও কৃৃষকদের রয়েছে নানা অভিযোগ।
সরেজমিনে জানা যায়, মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের কৃষকরা আলীপুর বাজারে সার কিনতে এসে পাচ্ছে না। তাদের চোখে মুখে হতাশা লক্ষ্য করা গেছে। জমিতে সার ছিটানোর উপযোগী সময় সার না পেলে তাদের ক্ষতি হবে এমনটাই জানিয়েছেন কৃষকরা।
সারের দোকানে গিয়ে জানা যায়, আলীপুর বাজারের কোন দোকানে সার নেই। দুই এক বস্তা সার আছে খুচরা বিক্রয় করার জন্য। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ডিলার বা দোকানদাররা বেশি দামে বিক্রয় করছেন এমন কোন অভিযোগও পাওয়া যায়নি। তবে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সকল দোকানদার সার বিক্রয় করছেন। তাদের দাবি সরকার প্রতি বস্তা সারের মূল্য ৮’শ টাকা নির্ধারণ করলেও ৮’শ ত্রিশ টাকায় দোকানে সার পৌঁছে। তারা ৮’শ চল্লিশ-পঞ্চাশ টাকা সার বিক্রয় করেন।
আলীপুরের সার বিক্রেতা সেলিম হাওলাদার বলেন, বর্তমানে সারের পর্যাপ্ত চাহিদা রয়েছে। কিন্তু তিনদিন আগে সার শেষ হয়ে গেছে। আগামী ২-৩দিনের মধ্যে সার আসবে বলে শোনা যাচ্ছে।
লতাচাপলী ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে আলীপুরে কোন দোকানে সার নেই। আজ সন্ধ্যায় মহিপুর থেকে ৫০ বস্তা সার আনা হবে। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে এখানে পর্যাপ্ত সার আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।