চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের উপরে চরম নির্যাতন চালাচ্ছে সরকার। দীর্ঘদিনের নির্যাতন এখন মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে বলেও উঠছে অভিযোগ। চীন প্রশাসনের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ জমা পড়ল রাষ্ট্র সংঘে। অভিযোগকারী হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে বাস করে উইঘুর প্রজাতির মুসলিমরা। এই সম্প্রদায় চিনে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ। অনেক উইঘুর প্রজাতির মানুষকে ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়েছে বলেও শোনা যায়। ক্যাম্পে থাকা ব্যক্তিদের উপরেও চলে নির্মম অত্যাচার।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে উইঘুর সম্প্রদায়ের মানুষদের নির্বিচারে আটক করে নিরাপত্তারক্ষীরা। বাধা দেওয়া হয় নিত্যদিনের ধর্মীয় অনুশাসনে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক স্বার্থেও ব্যবহার করা হয় তাঁদের।
আরও চাঞ্চল্যকর বিষয় হচ্ছে ডিজিটাল উপায়ে সম্প্রতি জিনজিয়াং প্রশাসন উইঘুরদের উপরে কড়া নজরদারি শুরু করেছে। উইঘুর মুসলিমদের প্রতিটি বাড়িতে বসানো হয়েছে কিউআর কোড। এই উপায়ে দূরে থেকেও ডিজিটাল পদ্ধতিতে নজরদারি চালানো হয় প্রতিটি বাড়িতে।
এই উপায়ে কোন বাড়িতে কে কখন ঢুকছে বা বাইরে বেরোচ্ছে তার উপরে চলে নজরদারি। বাইরে থেকে কেউ আসলেও সেদিকেও নজর রাখে প্রশাসন। কেন আসা হয়েছে? সেই প্রশ্নই করা হয় আগন্তুককে। উত্তর সন্দেহজনক হলেই নিরাপত্তারক্ষীরা তুলে নিয়ে যায়। যদি সন্দেহ দৃঢ় হয় কিন্তু প্রমাণ না মেলে তাহলে ডিএনএ টেস্টের মতো পরীক্ষার সম্মুখীনও হতে হয়।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন যে বাড়িতে সাধারণ গল্প করা হলে বা গান গাইলে সেটাও রেকর্ড করা হয়। প্রশাসনের যদি কিছু বেগতিক মনে হয় তাহলেই চলে নির্যাতন।
যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বিষয়টি অনৈতিক মনে হচ্ছে না। তাঁদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে জিনিজিয়াং প্রদেশে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে ইসলামিক জঙ্গিরা। সেই কারণেই নিরাপত্তাজনিত কারণে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে ক্যাম্পে অত্যাচারের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে জিনজিয়াং প্রশাসন।