পরিচয় মিলেছে পূর্বাচলের তিনশ’ ফিট সড়ক থেকে উদ্ধারকৃত গুলিবিদ্ধ তিন যুবকের। তাদের সবাই রাজধানী ঢাকায় বসবাস করতেন। এদের মধ্যে দু’জন যুবক সম্পর্কে ভায়রাভাই ছিলেন বলেও নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, অনলাইন গণমাধ্যম, ও টেলিভিশনে নিহতদের ছবি প্রকাশ পেলে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। নিহতরা হলেন- রাজধানীর মহাখালীর নিকেতন বাজার এলাকার শহীদুল্লাহর ছেলে মো. সোহাগ (৩২)। মুগদা এলাকার মো. আবদুল মান্নানের ছেলে শিমুল আজাদ (৩০), তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের কালিগঞ্জের ঘোরেলা এবং মুগদা এলাকার আবদুল ওয়াহাব মিয়ার ছেলে নূর হোসেন (৩০), তার গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ির পাইকপাড়ায়। এদের মধ্যে শিমুল ও নূর হোসেন সম্পর্কে ভায়রাভাই।
নিহত শিমুলের স্ত্রী আয়েশা আক্তার আন্নি জানান, কোরবানির ঈদে আমি গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যাই। এরপর শিমুলও গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের কালিগঞ্জে বেড়াতে যায়। সেখান থেকে বাসে যোগে ফেরার পথে গত বুধবার রাতে মানিকগঞ্জের দৌলতদিয়া ঘাট পার হবার পর দুটি মাইক্রোবাস বাসটিকে আটকায়। এরপর নিজেদের ডিবি পরিচয় দিয়ে ১০-১২ জনের কয়েকজন শিমুলকে অন্য আরেকটি গাড়িতে তুলে নেয়। এরপর থেকে শিমুল নিখোঁজ ছিলেন। তার মুঠোফোন বন্ধ ছিল। খবর পেয়ে থানায় এসে তিনি স্বামীর মরদেহ শনাক্ত করেন। তার স্বামী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ছিলেন। তাদের এক কন্যাশিশু রয়েছে।
এদিকে নিহত সোহাগের ভাই মো. শাওন জানায়- গত বুধবার বেড়াতে গিয়ে তার বড় ভাই নিখোঁজ হন। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ফেসবুকে ছবি দেখে তারা রূপগঞ্জ থানায় এসে মরদেহ শনাক্ত করেন। তার ভাই ফাস্টফুড বার্গার ও স্যাটেলাইট ক্যাবল নেটওয়ার্কের ব্যবসা করতেন। নিহত সোহাগের ১০ বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির জানান, নিহত একজনের পকেটে ৬৫টি ইয়াবা বড়ি পাওয়া হয়েছে। নিহত যুবকদের স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করেছেন। তাদের কারও বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে কি না, জানা নেই। হত্যার নেপথ্যে কারা জড়িত তাও স্পষ্ট নয়।
রূপগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি। কে বা কারা গুলি করে হত্যা করেছে, তা স্পষ্ট নয়। তদন্তে জানা যাবে। পূর্বাচল ৩০০ ফিট ১১ নং ব্রিজ এলাকা থেকে উদ্ধার এই তিন মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।