মাদারীপুর প্রতিনিধি:
ইরাকে যাওয়ার জন্য দালালকে টাকা দেন। পরে না যেতে পেরে টাকা ফেরত চাওয়ায় জীবন হারাতে বসেছিল মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের নিসাবদী এলাকার বাসিন্দা রিয়াজ খান।
বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে অসহায় পরিবার ও এলাকাবাসী সদর উপজেলার নিসাবদী এলাকায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেছে। এ ব্যাপারে সদর থানায় মামলা হলেও এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি।
রিয়াজ মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের নিসাবদী এলাকার মো. হোসেন খানের ছেলে। তিনি এখনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মামলা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১ সেপ্টেম্বর (শনিবার) রাত সাড়ে ৯টায় দিকে মাদারীপুর সদর থানাধীন ঘটকচর বাজার থেকে একাই পায়ে হেটে বাড়ি যাচ্ছিলেন রিয়াজ খান। এ সময় পেয়ারপুর মকবুল হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে আসলে একটি মাইক্রোবাসে থাকা খলিল চৌকিদার, দিসান চৌকিদার ও সুমনসহ আজ্ঞাত আরো ৩ জন পথ রোধ করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় তাকে। তারা রিয়াজকে বিভিন্ন ভাবে শারিরিক নির্যাতন করে।
এ সময় শ্বাসরোধ করে মারার চেষ্টা করলে রিয়াজ অজ্ঞান হয়ে যায়। এক সময় হামলাকারীরা বুঝতে পারে রিয়াজ মারা গেছে, তাই রিয়াজকে একটি প্লাস্টিকের বস্তার ভিতরে ভরে নিসাবদী এলাকার একটি দোকানের সামনে ফেলে রেখে যায়।
পরের দিন রবিবার ভোরে ফজরের নামাজ পরতে আসা ইমাম গোলাম মাওলা দোকানের কাছে একটি বস্তা দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয়। মসজিদে থাকা আরো লোকজন নিয়ে বস্তা খুলে দেখে মানুষ, এখনো জীবিত আছে বুঝতে পেরে বস্তা খুলে রিয়াজকে বের করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।