রাজধানীর দক্ষিণখানে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে কিশোর মেহেদী হাসান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আরও ৩ আসামি। আসামিরা হলেন সোহেল রানা, মেহেরাব হোসেন ও সাইফুল ইসলাম। জবানবন্দি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আজ মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) আদালতে জবানবন্দির উদ্দেশ্যে হাজির করা হয় আসামিদের। পরে তারা স্বীকারোক্তিমূলক দিলে তা রেকর্ড করা হয়।
জানা যায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মিজানুর রহমান চার আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এক দিনের রিমান্ড শেষে ঐ চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এদের মধ্যে তিনজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের প্রক্ষিতে মুখ্য মহানগরের পৃথক ৩ হাকিম তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। তবে মামলার আরেক আসামি মনির হোসেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়নি। পরে ঢাকা মহানগর হাকিম প্রণব কুমার হুই তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে মামলাটিতে সাইফ, আরাফাত ও সিফাত হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। এছাড়া আসামি আপেল অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাকে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট সন্ধ্যায় দক্ষিণখানের চেয়ারম্যান বাড়ি সংলগ্ন কেসি হাসপাতালের সামনে কিশোর মেহেদীকে হত্যা করা হয়। সে সময় পুলিশ জানায়, মেহেদী হাসানের বন্ধু আনারবাগের নাজমুলের সঙ্গে অপর একটি কিশোর গ্রুপের দ্বন্দ্ব ছিল। সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে নাজমুলের সঙ্গে সেই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় মেহেদী হাসান গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মেহেদীর বাবা বাদী হয়ে রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় ৮ সেপ্টেম্বর আটজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।