রাজধানী ও দক্ষিণাঞ্চলে শীত গত দুই দিনে কিছুটা কমেছে। কিন্তু উত্তরাঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। এই অবস্থায় দেশের উত্তর ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামী শনি ও রোববার—এই দুদিন বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে মূলত এই গুঁড়ি গুঁড়ি বা হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে। এই বৃষ্টির পরে শীতের প্রকোপ আরও বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, যশোর, চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
গতকাল বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী ও ঈশ্বরদীতে, ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সেখানে কয়েক দিন ধরে চলছিল মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বুধবার তাপমাত্রা আরও কমে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। বুধবার ভোর থেকে রাজশাহীতে কনকনে ঠান্ডা বাতাস বইছে। এতে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
আমাদের রাজশাহী প্রতিনিধি জানান, মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কারণে সেখানে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কনকনে ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। সকাল থেকে রাস্তার লোকজনের চলাফেরাও ছিল কম। নিম্ন আয়ের মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানান, সেখানে গতকাল আধা বেলা দেখা মেলেনি সূর্যের। বিরূপ আবহাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন দিনমজুর, কৃষিশ্রমিকসহ চরাঞ্চলের মানুষ।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যমতে, বুধবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা কমলেও দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।