বগুড়ার শেরপুরে বিয়ের প্রলোভনে নারী শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগে হোটেল মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃতের নাম শহিদুল ইসলাম (২৯)। তিনি উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর সরকার পাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে।
এসআই শফিকুল জানান, বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে ধর্ষণের শিকার ওই নারী শ্রমিক বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এরপরই তাকে ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ। একপর্যায়ে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক সংলগ্ন উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের ধনকুণ্ডি নামক স্থানে শহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন হোটেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই নারী শহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন খাবার হোটেলে শ্রমিক হিসেবে কাজ নেন। কিছুদিনের মধ্যেই ভুক্তভোগীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করেন হোটেল মালিকের। পরবর্তীতে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এতে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ওই নারী। এসব ঘটনার পর তিনি বিয়ের কথা বললে শহিদুল গর্ভপাত করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। শহিদুলের এমন প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শহিদুল বিভিন্নভাবে তাকে হুমকি-ধামকিও দেন। পরে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই নারীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাকে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মামলা দায়েরের পর পরই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলামকে ধরতে অভিযান চালানো হয়। বিষয়টি আঁচ করতে আত্মগোপনের চেষ্টাও করেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। গ্রেপ্তারকৃতকে শুক্রবার বগুড়ায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান তিনি।