যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত সাময়িকী ফোর্বসের ১৯তম বার্ষিক তালিকায় বিশ্বের ১০০ জন ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় ৪২তম স্থানে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ম্যাগাজিনটির আগের বছরের তালিকায় ৪৩তম স্থানে ছিলেন।
এবার প্রধানমন্ত্রী রাজনীতি ও নীতি বিভাগে ২২ জনের মধ্যে ১১তম স্থানে রয়েছেন।
ফোর্বসের এই বছরের তালিকার শীর্ষে রাখা হয়েছে ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডের লিয়েনকে। ইউক্রেন যুদ্ধের সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নকে নেতৃত্বদান এবং পাশাপাশি কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলা অবদান রয়েছে তার।
তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লগার্দ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।
তালিকায় শততম স্থানে রাখা হয়েছে ইরানের মাসা আমিনিকে। পুলিশের হেফাজতে যার মৃত্যু হয়েছিল। দেশটির বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিত্ব করছেন মাসা আমিনী। গত সেপ্টেম্বরে যার মৃত্যু অভূতপূর্ব নারী নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের জন্ম দিয়েছিল।
তালিকায় ৩৬তম অবস্থানে আছেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তিনিসহ দেশটির ছয় নারী এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
বাকি নারীদের মধ্যে ৩৯ জন সিইও, ১০ জন রাষ্ট্রপ্রধান এবং ১১ জন বিলিয়নিয়ার, যাদের সম্মিলিত মূলধন ১১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ভন ডের লিয়েনের প্রভাব অনন্য, তালিকার অন্য কেউ ৪৫০ মিলিয়ন মানুষের জন্য নীতি প্রণয়ন করেন না, তবে একটি মুক্ত ও গণতান্ত্রিক সমাজের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি তা নয়।
তিনি ২০২২ সালের সবচেয়ে বড় গল্পের একটি মুখ: নারীরা গণতন্ত্রের জন্য স্থির সংকল্প হিসেবে কাজ করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসাভিত্তিক ম্যাগাজিন ফোর্বস ২০০৪ সাল থেকে বিশ্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকা করে আসছে। অর্থ, মিডিয়া, প্রভাব এবং প্রভাবের ক্ষেত্র— তালিকা প্রকাশের আগে এই চার বিষয় নির্ধারিত হয়।
ফোর্বসের মতে, ফলাফলটি এমন নারীদের একটি সংগ্রহ, যারা স্থিতাবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
সাময়িকীটি শেখ হাসিনার বিষয়ে বলেছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে তার চতুর্থ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি চতুর্থ মেয়াদে জয়ী হয়েছেন, যা তার টানা তৃতীয় মেয়াদও। তার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৮৮টি আসনে জয়ী হয়।
শেখ হাসিনা খাদ্য নিরাপত্তা এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির মতো বিষয়গুলোতে ফোকাস করার পরিকল্পনা করেছেন। শেখ হাসিনার জন্য চলমান সংগ্রাম বাংলাদেশে একটি দৃঢ় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করছে বলে জানায় ফোর্বস।