বিএনপির নেতারা আটক বা গ্রেফতার নয়, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ডিবিতে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশের একটি দল।
বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান অভিযোগ করে বলেন, গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা দলের এই দুই নেতাকে তাদের বাসা থেকে নিয়ে গেছেন। তিনি জানান, ডিবি পুলিশ রাত তিনটার দিকে উত্তরার বাসা থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে এবং একই সময় ঢাকার শাহজাহানপুরের বাসা থেকে মির্জা আব্বাসকে আটক করে নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় জানান, তাদের দু’জনকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়েছে নাকি আটক করা হয়েছে সে বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
এর আগে, বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে সংঘর্ষের পর রাতে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযান শেষে বিএনপির কার্যালয় থেকে ১৬০ বস্তা চাল, খিচুড়ি, রান্নার উপকরণ এবং অবিস্ফোরিত ১৫টি বোমা উদ্ধারের কথা জানানো হয়।
বিএনপির আলোচিত ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশের বাকি আছে মাত্র এক দিন। সমাবেশের স্থান নিয়ে কয়েক দিন ধরেই চলছে আলোচনা। রক্তারক্তির পর অবশেষে সমাবেশস্থল নিয়ে পুলিশ ও বিএনপির তরফ থেকে নতুন প্রস্তাব এসেছে। এবার কমলাপুর স্টেডিয়ামে গণসমাবেশ করতে চায় বিএনপি। আর পুলিশ নতুন ভেন্যু হিসেবে প্রস্তাব দিয়েছে মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজের মাঠ।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে বৈঠকের পর কমলাপুর স্টেডিয়াম ও মিরপুর বাঙলা কলেজের মাঠ পরিদর্শনে যায় বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রধান উপদেষ্টা মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে এ প্রতিনিধি দল শুক্রবার প্রথম প্রহরে সম্ভাব্য সমাবেশস্থল নির্ধারণে সরেজমিনে যান।
পরে সাংবাদিকদের মির্জা আব্বাস বলেন, ‘দুইটা মাঠ দেখেছি। স্থায়ী কমিটির সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানাবো। কোথাও নিরাপদ নয় বিএনপি কর্মীরা। সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না।’
তবে রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘আমরা দুটি জায়গা পরিদর্শনে যাবো। যেটি আমাদের পছন্দ হয় সেখানেই সমাবেশ করবো। কোন মাঠ আমাদের পছন্দ সেটি রাতেই পুলিশকে জানিয়ে দেব।