শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় ভারতে । তারই মধ্যে আরও একটি নৃশংসতার ঘটনা উঠে এল শিরোনামে। এবার ঘটনাস্থল বিশাখাপত্তনম । প্রেমিকাকে খুন করে তার দেহ ব্যাগবন্দি করে ড্রামের ভিতর লুকিয়ে রাখে যুবক বলে অভিযোগ। প্রায় দেড় বছর পর সেই মৃতদেহের খোঁজ পেল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ঋষির সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ধনলক্ষ্মী নামের যুবতীর। প্রথমে দু’জনের মধ্যে ভাব-ভালবাসা থাকলেও পরবর্তীতে টাকা-পয়সা নিয়ে ঝামেলা হয় তাঁদের। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ঋষির কাছে দু’হাজার টাকা চেয়েছিলেন ধনলক্ষ্মী। আর তাই নিয়েই দু’জনের মধ্যে বচসা চরমে পৌঁছায়। তারপরই ধনলক্ষ্মীকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করে ঋষি বলে অভিযোগ। খুনের পর ঠান্ডা মাথায় প্রেমিকার দেহ ব্যাগে ভরে চেন আটকে তা নিজের ভাড়া বাড়ির একটি ড্রামে লুকিয়ে ফেলে ঋষি।
ঘটনার তদন্তে নেমে খোঁজ শুরু হয় ঋষির। দীর্ঘদিন সে গা ঢাকা দিয়েছিল। তবে শেষমেশ পুলিশের জালে ধরা পড়ে। বিশাখাপত্তনম সিটির পুলিশ কমিশনার শ্রীকান্ত জানান, ঘটনার দেড় বছর পর ঋষির বাড়ির মালিক ওই ড্রামে ধনলক্ষ্মীর দেহ খুঁজে পান। তিনিই খবর দেন পুলিশে। সেই বাড়িতে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। মৃতদেহের ডিএনএ টেস্টও করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
গোটা ঘটনার কথা সামনে আসতেই থমথমে পরিস্থিতি এলাকায়। ঋষির মতো ভাড়াটিয়ারা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাড়ির মালিকদের জন্য। রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছে সেই পরিবার।