না ফেরার দেশে চলে গেছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। একা হয়ে গেছেন তাঁর ‘কাছের মানুষ’ সব্যসাচী চৌধুরী। বর্তমানে পরিবার আগলে রেখেছে অভিনেতাকে। তবু ‘সব্য’ বলে ডাকার মানুষটার অনুপস্থিতি বড্ড প্রকট।নিজেকে লাইমলাইট থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছেন ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’খ্যাত অভিনেতা। এই পরিস্থিতিতে জানা গেল, পরের বছরই ঐন্দ্রিলা শর্মার সঙ্গে বিয়ের কথা ছিল সব্যসাচী চৌধুরীর। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে ঐন্দ্রিলার বাবা উত্তম শর্মা এবং মা শিখা শর্মা এই কথা জানিয়েছেন। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসেই নাকি চার হাত এক হওয়ার কথা ছিল তাঁদের।
প্রায় ১০ দিন হয়ে গেল অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা নেই। আলমারিতে তাঁর সারি সারি পোশাক, প্রসাধনী, সুগন্ধী, জুতো সাজানো, শুধু তিনি নেই। তাঁর ব্যবহৃত সব জিনিস আঁকড়েই এখন দিন কাটছে অভিনেত্রীর পরিবারের। অথচ এই সময় আরো ঝলমল থাকার কথা ছিল ঐন্দ্রিলার। ঐন্দ্রিলার বাবা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চেই সব্য ঐন্দ্রিলার বিয়ের কথা ছিল। সেভাবেই প্রস্তুতিও শুরু হয়েছিল দুই পরিবারে। কিন্তু চার হাত এক হওয়ার বদলে, মাঝ রাস্তায় সব্যসাচীর হাত ছেড়ে চিরতরে বিদায় নিলেন ঐন্দ্রিলা।
কথা ছিল খুব শিগগিরই পাকা কথা বলে, শুভ কাজ সেরে ফেলবেন সব্যসাচী ঐন্দ্রিলা। আসলে কথা তো অনেক কিছুই থাকে, কিন্তু কথা রাখা বোধ হয় সব সময় মানুষের হাতে থাকে না। গত ২০ নভেম্বর মৃত্যুশয্যাতেই ঐন্দ্রিলাকে শেষবারের মতো দেখেছেন সব্যসাচী। একটি অনুকরণীয় ভালোবাসার গল্প অসম্পূর্ণই রয়ে গেল পৃথিবীর বুকে।
গত ১ নভেম্বর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় ঐন্দ্রিলাকে ভর্তি করানো হয় হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ২০ নভেম্বর দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন অভিনেত্রী।