ভারতের ঊড়িষ্যা রাজ্যের পুরীতে সমুদ্র সৈকত থেকে তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হোটেল থেকে অপহরণের শিকার ১৮ বছর বয়সী তরুণীর দেহ উদ্ধারের সময় তার পরনে কেবল অন্তর্বাস ছিল।
মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মরদেহ উদ্ধারের সময় মুখ কালচে বর্ণের ছিল। সেই সঙ্গে তার আঙুল ক্ষতবিক্ষত ছিল।
তরুণীর পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। তবে পুলিশের দাবি, সমুদ্রে ডুবে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই তরুণীর।
এনডিটিভি জানিয়েছে, গত ২৬ নভেম্বর পুরীর পেন্থাকাটা এলাকায় একটি সমুদ্রসৈকত থেকে ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে ২৩ নভেম্বর থেকে ওই তরুণী নিখোঁজ ছিলেন।
পরিবারের দাবি, হোটেলের বাইরে জামাকাপড় শুকাতে দেওয়া ছিল। তা নিয়ে আসার জন্য গত ২৩ তারিখ হোটেলের বাইরে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। তার পর থেকেই আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
তরুণীর বাবার অভিযোগ, তার মেয়ের মুখে অ্যাসিড ঢালা হয়েছে, যাতে তাকে চিহ্নিত করতে না পারা যায়। কানের দুল, সোনার নাকছাবি দেখে তরুণীর দেহ চিহ্নিত করেন তার বাবা।
পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারের সময় তরুণীর মুখ কালচে ছিল। তার আঙুলগুলো বিকৃত অবস্থায় ছিল। সমুদ্রে তলিয়ে গিয়েছিল তরুণী। দীর্ঘ সময় সমুদ্রের পানিতে থাকায় তরুণীর মুখ কালচে রঙের হয়ে যেতে পারে। আঙুলগুলি বিকৃত করার ব্যাপারে যুক্তি হিসেবে পুলিশের দাবি, কোনো সামুদ্রিক প্রাণী হয়তো সেগুলো খেয়েছে।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ওই তরুণী মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার বাসিন্দা। পরিবারের সঙ্গে পুরী বেড়াতে এসেছিলেন। এ ঘটনায় পুরীর পুলিশ সুপার কে ভি সিংহের সঙ্গে দেখা করেছেন তরুণীর পরিবারের সদস্যরা। উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন তারা।
সূত্র: এনডিটিভি।