সৌদি আরবের কাছে আর্জেন্টিনার হেরে যাওয়ার প্রভাব পড়ে মেক্সিকো-পোল্যান্ড ম্যাচে। আর্জেন্টিনার হারে মেক্সিকো আর পোল্যান্ড দলের দুই কোচ তাদের কৌশলে পরিবর্তন আনেন। দুই দলের মাঠের খেলাতেই ধরা পড়ে বিষয়টি।
মেক্সিকোর কোচ টাটা মার্টিনো আর পোল্যান্ডের সেসওয়াফ মিখমিয়েভিৎস দলকে যেন একটু রক্ষণাত্মক ফুটবলই খেলানোর চেষ্টা করেছেন। ভাবখানা ছিল এ রকম যে এ ম্যাচে না হারা যাবেই না!
৯০ মিনিটের খেলায় লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি কোনো দল, গোল শূন্য ড্র হয়েছে ম্যাচ। এতে অবশ্য পোল্যান্ডের অধিনায়ক রবার্ট লেভানদোভস্কির দায় আর মেক্সিকোর গোলকিপার গিয়ের্মো ওচোয়ার অবদান আছে। ম্যাচের ৫২ মিনিটে পেনাল্টি বক্সে লেভানদোভস্কিকে ফেলে দেন কামিনস্কি।
ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। লেভার নেয়া পেনাল্টি বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন ওচোয়া।
প্রথমার্ধে বেশির ভাগ সময়ই দুই দল এলোমেলো আর রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলেছে। প্রথমার্ধে দুই দল মিলিয়ে গোলের ভালো সুযোগ একটাই তৈরি করতে পেরেছে। সেই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি মেক্সিকোর সানচেজ। তার গতিময় শটটি পোল্যান্ডের গোলকিপার ভয়চেক সেজনিতে পরাস্ত করলেও চলে যায় বারের ওপর দিয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই অবশ্য আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। তবে সেটা রক্ষণটা ঠিক রেখেই। আক্রমণ করার দিক থেকে অবশ্য এগিয়ে ছিল মেক্সিকো। কিন্তু তাদের বেশিরভাগ আক্রমণই মুখ থুবড়ে পড়েছে অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে।
মেক্সিকোর আক্রমণ সামলে পাল্টা আক্রমণে উঠেছে পোল্যান্ডও। কিন্তু মেক্সিকোর গোলকিপার ওচোয়ার বড় কোনো পরীক্ষা দিতে হয়নি। তাই তো বিশ্বকাপে এর আগে দুই দলের একমাত্র সাক্ষাতের ফলটা আর ফিরিয়ে আনতে পারেননি। ১৯৭৮ বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে মেক্সিকোকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল পোল্যান্ড।
মেক্সিকো-পোল্যান্ডের এই ড্রয়ে আর্জেন্টিনার দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়ে দেবে। সৌদি আরবের কাছে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ২-১ গোলে হেরে যাওয়া লিওনেল মেসিদের এখন পরের রাউন্ডে যেতে হলে পরের দু’টি ম্যাচই জেতা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। আর আর্জেন্টিনার পরের দু’টি ম্যাচ আজকের ম্যাচে ড্র করা পোল্যান্ড আর মেক্সিকোর বিপক্ষেই।