খেলার মাঠে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করা নতুন কিছু নয়। তবে এবার কাতার বিশ্বকাপে নিয়ম করা হয়েছে কড়াকড়িভাবে। চাইলেই সব বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করা যাবে না। কাতারের সংস্কৃতিকে সম্মান দেখাতে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ফুটবলপ্রেমীদের একটু বিনয়ী হয়ে চলা-ফেরার পরামর্শ দিয়েছেন আয়োজকরা। বিধিনিষেধ রয়েছে ফুটবলারদের জন্যেও। ফিফা যেনো সেটাই জানিয়ে দিলেন ইংল্যান্ড সুপারস্টার হ্যারি কেনকে।
মুসলিম দেশ কাতারে মদ্যপান, নারীদের খোলামেলা পোশাক, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক এবং সমকামিতা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ফলে বিশ্বকাপ দেখতে কাতারে সফরকারী ফুটবলপ্রেমীদের সতর্ক করা হয়েছে। ফুটবলাররাও মাঠে এমন কিছু করতে পারবে না, যা তাদের সংস্কৃতিকে অপমান করে।
এলজিবিটি বা সমকামিতাকেও সাপোর্ট করা যাবে না মাঠে। এটাই যেন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে কিছু খেলোয়াড়দের জন্য।
ফিফা গতকাল বলেছে, যদি হ্যারি কেন ওয়ান লাভ আর্ম-ব্যান্ড পড়ে মাঠে নামে, তাহলে তাকে ম্যাচের শুরুতেই রেফারি হলুদ কার্ড দেখাবে।
যদিও ইংল্যান্ড অধিনায়ক বলেছেন, তাদের কথা একদম পরিষ্কার। তিনি হাতে ওয়ান লাভ আর্ম ব্যান্ড পড়েই মাঠে নামবেন। কারণ আমরা এটাকে সাপোর্ট করি।
তবে ম্যাচ শুরু হওয়ার ঘণ্টা কয়েক আগেই নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছেন তারা।
ইউরোপের সাতটি দলের অধিনায়করা এই আর্ম ব্যান্ড পড়ে মাঠে নামার কথার বলছিলেন। এখন তারা সকলেই এই সিদ্ধান্ত থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছেন।
নেদারল্যান্ড এর অধিনায়ক ভ্যান ডি-ভিক নিজেও বলেছিলেন, আমি অবশ্যই এই আর্ম ব্যান্ড পড়ে মাঠে নামবো। আমাদের দিক থেকে কোনো কিছুই পরিবর্তন হয়নি এবং আমি যদি এটি পরার জন্য হলুদ কার্ড পাই, তবে আমাদের এটি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। কারণ আমি হলুদ কার্ড নিয়ে খেলতে পছন্দ করি না। তার আর প্রয়োজন হবে না, কারন তাড়াও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন।
যদিও ফ্রান্সের অধিনায়ক হুগো লরিস কয়েক দিন আগে বলে দিয়েছিলেন, আমি রেইনবো আর্ম-ব্যান্ড পড়ে খেলবো না। যেহেতু এটা কাতারের সংস্কৃতিকে অপমান করে, সেই জন্য আমি এটা পড়া থেকে নিজেকে বিরত রাখবো।
ওয়ান লাভ হলো একটি কমিউনিটি যারা সাড়া বিশ্বে চলমান সকল বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। তবে তাদের প্রধান লক্ষ্য সমকামিতার পক্ষে লড়াই করা।