Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ রবিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

এইট পাস দিয়ে দেশের উন্নয়ন হয় না: শেখ হাসিনা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০২২, ০৮:৫১ PM
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২২, ০৮:৫১ PM

bdmorning Image Preview


প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিএনপি নেতাদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, 'এইট পাস দিয়ে আর মেট্রিক ফেল দিয়ে দেশ চললে, সেই দেশের উন্নতি হয় না।' 

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী যুবলীগের মহাসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। 

তিনি বলেন, 'আমরা ক্ষমতায় আসার আগে সরকারে ছিল বিএনপি। ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ ছিল বিএনপির সময়। আমরা ৪৮ বিলিয়ন পর্যন্ত নিয়েছিলাম। কোভিড টিকা কিনেছি, বিনিয়োগ করেছি, বিমান কিনেছি, পায়রা বন্দর নিজস্ব অর্থায়নে করেছি। এভাবে রিজার্ভ থেকে খরচ হয়েছে। ঘরের টাকা ঘরে থাকছে। দেশের জনগণের উন্নয়নে এই টাকা ব্যবহার করছি। আমাদের এই অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবে না।'

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাদের নেতাই বিভিন্ন মামলার আসামি, তাদের মুখে আওয়ামী লীগের সমালোচনা শোভা পায় না। আমাদের অনেক সমালোচনা করছে অনেকে। তারা নাকি উন্নয়ন চোখে দেখে না। এই যে মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট এগুলো কে করেছে?

বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যুব সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের পরনির্ভরশীল থাকলে চলবে না, আত্মনির্ভরশীল হতে হবে। তাই আমি আহ্বান করছি, এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে।'

করোনার সময়, গৃহহীনদের ঘর করে দেওয়া সংক্রান্ত সরকারের প্রকল্পে, কৃষকের ধান কেটে দিয়ে, বিভিন্ন সময়ে দুখী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি যুবলীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে ধন্যবাদ জানান। তাদের উদ্দেশে বলেন, দেশের সেবা করতে হবে, মানুষের সেবা করতে হবে। ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংকশানের কারণে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। প্রতিটি নেতাকর্মীকে বলবো নিজের গ্রামে যান, নিজের জমি চাষ করবেন। অন্যের জমিতে যাতে উৎপাদন হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। যে কোনও চাষ, সবজি, গাছপালা লাগাতে হবে। সন্ত্রাস রুখতে হবে।

সবসময় মানুষের পাশে থাকতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ নেত্রী।

তরুণ সমাজের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'তরুণ সমাজের দায়িত্ব দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। যুবলীগের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলা এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।'

আওয়ামী যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এই মহাসমাবেশের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহাসমাবেশের প্রধান অতিথিও ছিলেন তিনি।

শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাবেশস্থলে আসেন। এরপর বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এবং জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সমাবেশের উদ্বোধন করেন।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এরপর শেখ হাসিনা মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন।

এদিন সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন।

আওয়ামী যুবলীগের মহাসমাবেশে ঢাকার বাইরে থেকেও প্রচুর নেতাকর্মী যোগ দিতে ঢাকায় এসেছেন। সমাবেশে যোগ দিতে গভীর রাত থেকেই বাস, মাইক্রোবাস ও পিকআপে করে নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসা শুরু করেন। 

সমাবেশ ঘিরে উদ্যানকে বর্ণাঢ্য সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয় দৃষ্টিনন্দন সুবিশাল প্যান্ডেল। এছাড়া, পুরো ঢাকা শহরের প্রধান প্রধান সড়কের পাশে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি যুবলীগের পতাকা দিয়েও সাজানো হয়।

জোরদার করা হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ছাড়া, উদ্যানের বিভিন্ন গেট ও ভেতরে টহলে ছিল গোয়েন্দা সংস্থা, আনসার, পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা।

Bootstrap Image Preview