মুখ ভার করে থাকা মেলবোর্নের আকাশ ফিক করে হেসে বিদায় নিল। ভারত-পাকিস্তান মহারণের মঞ্চে ঝরালো না বৃষ্টি। গ্যালারিতে লাখ দর্শকের সমারোহে ম্যাচ মুহূর্তে মুহূর্তে রঙ বদলালো। দুই রকমের ব্যাটিং বিপর্যয় দেখল দু’দল। দেখল বিরাটের দৃঢ়তা। যার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শেষ বলে পাকিস্তানকে ৪ উইকেটে হারাল ভারত।
বিশ্ব আসরে ভারতের বিপক্ষে জিততে না পারার জুজু গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে মিলিয়েছে পাকিস্তান। দশ উইকেটের ওই জয়ের পরে চলতি বছর এশিয়া কাপের সুপার ফোরে হেসেছে বাবর আজমের দল। এবার বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ম্যাচে প্রতিশোধ নিল ভারত।
মেলবোর্ন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। শুরুতে অধিনায়ক বাবর আজমকে আউট করে পাকিস্তানকে চাপে ফেলে ভারত। শূন্য রানে বাবরকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন বোলার আর্শদীপ সিং।
প্রথম ওভারে দলীয় ১ রানের পর দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই আউট হন ওপেনার বাবর। রিভিউ নিলেও রক্ষা পাননি তিনি।
দলীয় ১৫ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তানের। আর্শদীপের বলে বাউন্ডারি মারতে গিয়ে ভুবনেশ্বর কুমারকে ক্যাচ দেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ১২ বলে ৪ রান করে আউট হন তিনি। দুই সেরা ব্যাটারকে হারিয়ে রানের চাকা ধীরগতির হয়ে পড়ে পাকিস্তানের। ১০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৬০।
চাপের মূহুর্তে উইকেট থেকে দলকে খাদের কিনারা থেকে তোলার চেষ্টা করেন শান মাসুদ ও ইফতিখার আহমেদ। মাসুদ আর ইফতিখারের জুটিতে ৫০ বলে ৭৬ রান যোগ হর পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে। এ জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ শামি। ৩৪ বলে ৫১ রান করে আউট হন ইফতিখার।
ইফতিখারের আউটের পর একাই দলের হাল ধরেন চোটের কারণে দল থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় থাকা শান মাসুদ। তার ব্যাট থেকে আসে ৪২ বলে ৫২ রান। অপরাজিত এ ব্যাটার ৫টি চারের মার মারেন। এ ছাড়া শাদাব খান, হায়দায় আলি, মোহাম্মদ নাওয়াজ কেউই স্পর্শ করতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘর।
শেষ দিকে মারকুটে ব্যাটিংয়ে শাহিন শাহ আফ্রিদির ব্যাট থেকে আসে ৮ বলে ১৬ রান। এ ছাড়া অপরাজিত আরেক ব্যাটার হারিস রউফের ব্যাট থেকে আসে ৪ বলে ৬ রান।
ভারতের হয়ে হার্দিক পান্ডিয়া ও আর্শদীপ সিং নেন ৩টি করে উইকেট এবং মোহাম্মদ শামি ও ভুবনেশ্বর কুমার নেন একটি করে উইকেট।