দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে শেয়ার কারসাজির ঘটনায় উঠে এসেছে মূল হোতাদের নাম। যার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে মোনার্ক হোল্ডিংস। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেয়ারের কারসাজিতে জড়িত এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সাদিয়া হাসান ও তার স্বামী আবুল খায়ের হিরো। দুজনই সাকিবের ব্যবসায়িক সহযোগী।
ওয়ান ব্যাংক ও বিডিকমের শেয়ার কারসাজিতে জড়িত থাকায় তাদেরকে ৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর এই দম্পতির কারণেই এই কেলেঙ্কারিতে উঠে এসেছে সাকিবের নামও।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন অবশ্য এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না। মঙ্গলবার মিরপুর স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের প্রশ্ন শুনে অবাক হয়ে যান তিনি।
হতবাক বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘বলেন কী! আমি তো এর কিছুই জানি না। ওটা যেহেতু ক্রিকেটের সাথে না, তাই আমি এ বিষয়ে জানি না।’
এদিকে, শেয়ার কারসাজিতে জড়িত থাকার দরুন অর্থদণ্ড পাওয়া এই ঋণখেলাপি দম্পতি অবশ্য তাদের অপকর্ম ঢাকতে ক্রীড়াঙ্গণকে বেছে নিয়েছেন। ইতোমধ্যে সাকিবের নাম ভাঙিয়ে এগুচ্ছেন তারা।
সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দল গড়তে কাগজপত্র জমা দিয়েছে মোনার্ক মার্ট। এটা তাদেরই প্রতিষ্ঠান। আবুল খায়ের হিরো ও কাজী সাদিয়া হাসানরা সম্প্রতি হকির ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও দল কিনেছেন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন দেশীয় ক্রিকেটের পোষ্টার বয় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান নিজেই।
এর আগে বেটউইনার নামে এক বেটিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে সমালোচনার শিকার হন সাকিব।