Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৯ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আটলান্টিক মহাসাগরে ঝড়ের কবলে মিথিলা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০১:২২ PM
আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০১:২২ PM

bdmorning Image Preview


অভিনয়ের পাশাপাশি চাকরিও করেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিথিলা। তবে বলা যায়, আসলে চাকরির পাশাপাশি অভিনয় করেন তিনি। কারণ, তার চাকরিটা হচ্ছে একটি বিশ্বখ্যাত এনজিও সংস্থায়। ‘ব্র্যাক’-এর আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপম্যান্ট বিভাগের প্রধান তিনি। এ চাকরির কারণেই বিভিন্ন দেশে তাকে যেতে হয়। সে রকম একটি কাজে গত দুই সপ্তাহ তিনি উগান্ডায় বিভিন্ন রকম ট্রেনিং, ওয়ার্কশপ, ফিল্ড ভিজিট শেষ করে উগান্ডা থেকে ওয়েস্ট আফ্রিকার সিয়েরা লিওনে আসেন এখানকার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করতে।

মিথিলা জানিয়েছেন, কর্মশালা শেষে গত শুক্রবার রাতেই সিয়েরা লিওন থেকে কলকাতায় যাওয়ার ফ্লাইট ছিল। সেদিন বিকালবেলা থেকেই প্রচণ্ড ঝড় বৃষ্টি। সিয়েরা লিওনের রাজধানী, ফ্রি টাউন, আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে। এবং সিয়েরা লিওনের এয়ারপোর্টটা ফ্রি টাউন থেকে দূরে একটা বিচ্ছিন্ন জায়গায় অবস্থিত, যার নাম ‘লুংগি’। ফ্রি টাউন থেকে ১ ঘণ্টা একটা ছোট ফেরিতে আটলান্টিক পার হয়ে লুংগি এয়ারপোর্টে যেতে হয়। আটলান্টিকে সেদিন তিনি ঝড়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন। মিথিলা বলেন, ‘ঝড় বৃষ্টির কারণে একটু বেশিই চিন্তিত ছিলাম। আমার ফেরির টাইম ছিল রাত দুটায়। এ ঝড়ের মধ্যেই আটলান্টিক পাড়ি দিতে হয়েছে। ঝড়টা হয়তো বড় ছিল না। কিন্তু আমাদের ফেরির যে সাইজ, তাতে করে সেটা নিয়ে আমার ভয় হয়েছে প্রচুর।

গন্তব্যে পৌঁছে ফেরি থেকে নেমে টার্মিনাল পর্যন্ত বৃষ্টির মধ্যে দৌড়ে যেতে যেতেই ভেজা কাক হয়ে গেলাম। তারপর একটা বাসে চড়ে লুংগি এয়ারপোর্টে পৌঁছাতে বাজলো ভোর ৪টা।’ পরে অনেক ঝক্কি ঝামেলা পেরিয়ে ঢাকায় আসেন তিনি। মিথিলা আরও বলেন, ‘এ গল্পটা শেয়ার করেছি শুধু তাদের জন্য যারা শুধু সুন্দর ছবিগুলোই দেখে, তার পেছনের কঠিন সময়ের গল্পগুলো জানেন না। এই যে, গত তিন সপ্তাহ ধরে মেয়েকে বাড়িতে রেখে হাজার হাজার মাইল বিভিন্ন দেশে, শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে জার্নি করে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করা, সেটা নিতান্তই জীবিকার তাগিদে; আমোদ ফুর্তির জন্য নয়। সবসময় সুন্দর ছবি আর ভালো কথাগুলো শেয়ার করি, কারণ আমি যা কিছু ভালো, আর পজিটিভ সেটাই ভাগ করে নিতে চাই। একজন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন কর্মী হিসাবে আমার কাজ নিয়ে আমি ভীষণ গর্ববোধ করি। তাই পেছনের কঠিন সময়গুলোকেও অভিজ্ঞতা হিসাবেই দেখি।’

Bootstrap Image Preview