Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ বুধবার, ডিসেম্বার ২০২৪ | ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

স্বপ্নের এক কেজি চালে ৩৬ টাকা মুনাফা, সব সুপারশপকে তলব

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:২৯ PM
আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:২৯ PM

bdmorning Image Preview


চালের প্রধান মৌসুম বোরো ধান ওঠার পর চালের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে চলার পরিপ্রেক্ষিতে চেইন সুপারশপ স্বপ্নের মাত্রাতিরিক্ত মুনাফার তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, এক কেজি চালে ৩৬ টাকা মুনাফা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার অধিদপ্তরে প্যাকেটজাত পণ্য নিয়ে সুপারশপ প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভায় এ তথ্য জানান তিনি। সভা শেষে জানানো হয়, অতিরিক্ত মুনাফার বিষয়ে বুধবার উৎপাদক, ভেন্ডর (সরবরাহকারী) ও সুপারশপের মালিকপক্ষকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করা হবে।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘আমরা অভিযানে দেখছি, যেকোনো পণ্যে সুপারশপগুলো লাভের পরিমাণ অনেক বেশি করছে। সুপার প্রিমিয়ামের নামে ৫২ টাকার চাল বিক্রি করছে ৮৮ টাকায়। এটা কীভাবে সম্ভব হতে পারে?’

‘যদি লাভটা সহনশীল পর্যায়ে করত তাহলে মানা যেত। কিন্তু না, তারা এমনভাবেই লাভ করছে যে ভোক্তার পকেট পুরোটাই কেটে ফেলছে। এভাবে তো চলতে দেয়া যেতে পারে না। আমি নিজেও একজন ভোক্তা।’

সফিকুজ্জামান বলেন, ‘কে কত টাকা লাভে পণ্য বিক্রি করছেন তা আমাদের কাছে তথ্য আছে। এসব বিষয় নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে।’

আলোচনায় অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল বলেন, ‘ডিমের দামেও লাভ করা হচ্ছে আকাশ-পাতাল ব্যবধানে। একটি খোলা ডিমের ক্রয়মূল্য ৯ টাকা ১৮ পয়সা হলেও বিক্রি করা হচ্ছে ১০ টাকা। আর এক ডজন প্যাকেটজাত ডিমের ক্রয়মূল্য হলো ১৩৬ টাকা ৪০ পয়সা, কিন্তু বিক্রি করা হচ্ছে ১৫৫ টাকায়। তার মানে ডজনপ্রতি লাভ করা হচ্ছে ১৮ টাকা ৩ পয়সা। খোলা পণ্য প্যাকেটজাত হলেই তারা লাভ করে নিচ্ছে দ্বিগুণ।'

বুধবার যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হতে যাচ্ছে তাতে বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভারসহ বড় বড় প্রতিষ্ঠানকে ডাকা হয়েছে বলেও জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ডিজি। বলেন, ‘কেন সাবান, ডিটারজেন্ট, পেস্টের দাম এত বাড়ল তা নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসা করা হবে, এটা কতটুকু যৌক্তিক তা নিয়ে জিজ্ঞেস করা হবে।’

ইলেকট্রনিক পণ্য প্রস্তুত ও বিপণনকারী কোম্পানি সিঙ্গারকেও ডাকা হয়েছে তাদের ঈদ অফারের ব্যাখ্যা দিতে।

সফিকুজ্জামান বলেন, ‘সিঙ্গার কোম্পানি ঈদের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে যেখানে লেখা ১০০% নিশ্চিত ক্যাশব্যাক। তাদেরও আগামীকাল ডেকেছি। তাদের ভাষায় তারা বৈধভাবে প্রতারণা করছে।’

ভোক্তারা প্রতিটা জায়গায় প্রতারণার স্বীকার হচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর সমাধান দরকার।’

মিডিয়াতে খবর আসার কারণে ভোক্তারা সচেতন হচ্ছে বলেও মনে করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। এ কারণে তারা আগের চেয়ে বেশি অভিযোগ পাচ্ছেন বলে জানান। বলেন, ‘আগে এক বছরে যে পরিমাণ অভিযোগ ছিল, এখন তা দুই গুণ বেড়েছে।’

বিষয়টি নিয়ে স্বপ্ন সুপারশপের ম্যানেজার (কমোডিটি) ইমরান হাসান বলেন, ‘দাম আমরা নির্ধারণ করি না। দাম নির্ধারণ করে ম্যানুফেকচারার। তারা যদি খুচরা মূল্য এরচেয়ে আরও কমে দেয়, তাহলে আমরাও কমেই বিক্রি করব। এখানো তো আমাদের হাত নেই।’

Bootstrap Image Preview