বাংলাদেশি নারী শান্তা শিকদারকে হত্যার দায়ে ঘাতক স্বামী সুমন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা পুলিশ। গতকাল সোমবার (২৯ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার পুমালাঙ্গা প্রদেশের লাইডেনবার্গ শহরের পাশের একটি জঙ্গল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত রবিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টার দিকে স্বামী সুমন মিয়া নিজ বাসায় স্ত্রী শান্তাকে পিটিয়ে ও চাকুর আঘাতে খুন করে পালিয়ে যান। শান্তা শিকদার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের থলপাড়া গ্রামের আব্দুস ছালাম শিকদারের মেয়ে।
নিহত শান্তা শিকদারের আত্মীয় দক্ষিণ আফ্রিকাপ্রবাসী পলাশ শিকদার এবং চাচাতো ভাই আরিফ শিকদার জানান, ২৯ আগস্ট স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে লাইডেনবার্গ পুলিশ অভিযান চালিয়ে লাইডেনবার্গ শহরের পাশের একটি জঙ্গল থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে শান্তা শিকদারের পাসপোর্ট ও মুঠোফোন উদ্ধার করে।
হত্যা মামলার আসামি হিসেবে সুমনকে দুই-এক দিনের মধ্যে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পারিবারিক সূত্র জানায়, পার্শ্ববর্তী বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের খোকা মাস্টারের ছেলে সুমন মিয়া আট বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান। সেখানে লাইডেনবার্গ শহরে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। এক বছর আগে থলপাড়া গ্রামের চাচাতো মামা আব্দুস ছালাম শিকদারের মেয়ে শান্তা শিকদারকে পারিবারিকভাবে মুঠোফোনে ভিডিওকলে সুমন বিয়ে করেন। প্রায় ছয় মাস আগে শান্তাকে স্বামী সুমন মিয়া দক্ষিণ আফ্রিকায় তার কাছে নিয়ে যান। এর কয়েক দিন পর থেকে তাদের দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। রবিবার (২৮ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় রাত ১টার দিকে স্বামী সুমন মিয়া নিজ বাসায় স্ত্রী শান্তাকে পিটিয়ে ও চাকুর আঘাতে খুন করে পালিয়ে যান।