ইউক্রেনে রুশ হামলার দ্বিতীয় দিনটি শুরু হয়েছে কিয়েভে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দে। রাজধানী কিয়েভ দখল করে নেয়াই রুশ বাহিনীর লক্ষ্য। তবে রাজধানী রক্ষায় প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করেছে ইউক্রেনের সেনা ও কিয়েভের বাসিন্দারা।
সিএনএন জানিয়েছে, রাজধানী রক্ষায় সর্বাত্মক প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় যখন রাত ৮টা, ইউক্রেনে তখন মধ্যদুপুর। পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, এ সময়টিতে কিয়েভ ও এর আশপাশের এলাকাগুলোয় পুরোদমে যুদ্ধ শুরু হয়েছে।
ইউক্রেনের নিয়মিত সেনাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে রিজার্ভ সেনারাও। সংরক্ষিত এসব সেনার মাঝে গোলাবারুদসহ অন্তত ১৮ হাজার অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে। তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসছেন অনেক সাধারণ নাগরিকও।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেছেন, ‘রাশিয়ার সেনারা শহরে ঢুকে পড়ায় ইউক্রেনের রাজধানী এখন প্রতিরোধমূলক পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।’
মেয়র আরও বলেন, ‘শহরের আশপাশে গুলি ও বিস্ফোরণ হচ্ছে। নাশকতাকারীরা এরই মধ্যে কিয়েভে প্রবেশ করেছে। শত্রুরা রাজধানীকে দুর্বল বানিয়ে আমাদের ধ্বংস করতে চায়।’
আক্রমণ শুরুর দ্বিতীয় দিনে আজ কিয়েভে পৌঁছায় রাশিয়ার সেনারা। কিয়েভের সিটি সেন্টারের উত্তরে অবস্থিত ওবোলন এলাকার মধ্য দিয়ে রুশ ট্যাংক চলতে দেখা গেছে।
এদিকে নিজ দেশের নাগরিকদের আবারও যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেন ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে কিয়েভে অবস্থিত রুশ দূতাবাস।
এর আগে শুক্রবার সকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন দাবি করেছিলেন, বেলারুশ সীমান্ত দিয়ে ইউক্রেনে প্রবেশ করেছে রুশ সেনারা। বেলারুশ সীমান্ত থেকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দূরত্ব মাত্র ২০ মাইল বা ৩২ কিলোমিটার।