বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত পূর্বাঞ্চলে রুশ সেনাবাহিনীর পাঁচটি বিমান এবং একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেওয়ার পর এসব বিমান এবং হেলিকপ্টার ইউক্রেনের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল বলে দাবি করেছে কিয়েভ। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
ইউক্রেনের আর্মি জেনারেল স্টাফের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘যৌথ বাহিনী কমান্ডের মতে, বৃহস্পতবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) যৌথ বাহিনীর অভিযানের এলাকার আক্রমণকারীদের ৫টি বিমান এবং একটি হেলিকপ্টারে গুলি চালিয়ে ভূপাতিত করা হয়েছে।
ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিবিসির এক অনলাইন প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যখন পুতিনকে আগ্রাসন বন্ধ করতে অনুনয় করলেন ঠিক একই সময় এক টেলিভিশন ভাষণে পুতিন ডনবাসে অভিযানের ঘোষণা দেন।
এই ঘোষণার পর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে দফায় দফায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। বিবিসি’র সংবাদদাতা পল অ্যাডামস বর্তমানে সেখানে অবস্থান করছেন। তিনি জানিয়েছেন, কিছুক্ষণ আগে সেখানে তিনি পাঁচ থেকে ছয়টি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন। এছাড়া কিয়েভ থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত হওয়া মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন’র একটি অনুষ্ঠানেও বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাওয়া গেছে।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিশ্চিত করেছেন যে, তার দেশে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা করছে রাশিয়া। ইউক্রেনের অবকাঠামো ও সীমান্ত রক্ষীদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা করছে রাশিয়া।
অন্যদিকে, এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেনের কোনো শহরে হামলা করা হচ্ছে না। বিভিন্ন সামরিক অবকাঠামো, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনীর অত্যাধুনিক অস্ত্রাগারে হামলা করা হচ্ছে।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, এসবের মধ্যেই রাজধানী কিয়েভ ছাড়তে শুরু করেছে ইউক্রেনবাসী। এএফপির প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, কিয়েভের মানুষ ব্যাগ ও সুটকেস নিয়ে মেট্রো স্টেশনগুলোতে ভীড় করেছে। রাস্তাঘাট ফাকা ও এটিএম বুথগুলোতে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।