বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন। বধূ সেজে বিয়ের আসরে বসে অপেক্ষা করছিলেন বরের জন্য। কিন্তু সারাদিনেও বর আসেনি। এক সময় অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান কনে।
গতকাল সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আহম্মদ আলী মাঝি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যকর অবস্থার সৃষ্টি হয়।
তাৎক্ষণিক কনের পরিবার চরহাজারী ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করলে এক পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন খোকন (৩৩) কনেকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
আলাউদ্দিন মুছাপুর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এবং একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য (মেম্বার) মৃত নূর ইসলাম ভূঞার ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাখাওয়াত হোসেন জায়েদ জানান, গত কয়েকদিন আগে পারিবারিকভাবে চরপার্বতী ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. শাকিলের সঙ্গে চরহাজারী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. হেলালের মেয়ে সানজিদা ইয়াছমিনের বিয়ের দিন ধার্য করা হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি।
বিয়েতে সাড়ে ছয় লাখ টাকা ও ১ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার দেনমোহরে সোমবার দুপুরে বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন করে কনের পক্ষ। দুপুরের মধ্যে কনে পক্ষের মেহমান ও সমাজের লোকজন খাওয়াদাওয়া শেষ করে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে বর পক্ষ বিয়ে বাড়িতে আসেনি।
মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটক ও বর পক্ষের পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করলেও তারা শেষ পর্যন্ত বিয়ের আসরে যোগ দেয়নি। একপর্যায়ে মেহেদি হাতে কনে অজ্ঞান হয়ে যান।
তাৎক্ষণিক বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া আলাউদ্দিন খোকন বলেন, আমি নিজের ইচ্ছায় একটি অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মানবিক দিক বিবেচনা করে এ সিন্ধান্ত গ্রহণ করেছি। রাত ৯টার দিকে আমার পরিবারের একাধিক সদস্যের উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
তিনি দেশবাসীর কাছে তাদের দাম্পত্য জীবনে সুখ কামনায় দোয়া চেয়েছেন।