Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৮ মঙ্গলবার, অক্টোবার ২০২৪ | ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

তৈমুরের ছোট ভাই খোরশেদ কত ভোটের ব্যবধানে জিতেছে?

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারী ২০২২, ০৩:৪৮ PM
আপডেট: ১৭ জানুয়ারী ২০২২, ০৩:৪৮ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


মেয়র পদে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার না জিতলেও তাঁর ছোট ভাই মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতে তৃতীয়বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।

মাকছুদুল আলম ‘করোনা হিরো’ নামে পরিচিত। এর আগে ২০০৩ সালেও কমিশনার নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের এবারের নির্বাচনে মাকছুদুল আলম ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে ১২ হাজার ৭৭০টি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন।

খোরশেদ বলেন, ‘জনগণ আমাকে মূল্যায়ন করেছে। আবারও নির্বাচিত করেছে। আমি তাদের কাছে বরাবরই ঋণী। আমি যেন আমার জীবনটাকে মানুষের জন্য উৎসর্গ করতে পারি।’

মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ এ নিয়ে চারবার কমিশনার ও কাউন্সিলর হলেন খোরশেদ।  তিনি ২০১১ ও ২০১৬ সালের নির্বাচনে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর পদে জয় পেয়েছিলেন। এবারও জয় পাওয়ায় কাউন্সিলর পদে হ্যাটট্রিক জয় হলো  খোরশেদের। এর আগে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভায়ও ২০০৩ সালে কমিশনার পদে জয়ী হয়েছিলন তৈমুরের ছোটভাই খোরশেদ। ওই সময় থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা দায়িত্ব পালন করেন তিনি। 

খোরশেদ করোনা চলাকালে নিজ হাতে মৃতদের দাফন-কাফন করে দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন।  একজন করোনাযোদ্ধা হিসেবে স্থানীয়দের পাশে দাঁড়ান।

নাসিক নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত ১১ কাউন্সিলর প্রার্থী জয় পেয়েছেন। অপরদিকে আওয়ামী লীগসমর্থিত ১২ জন, জাতীয় পার্টির ২ জন এবং অন্যান্য দুই প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনকে উৎসবমুখর করে তোলার পেছনে যাদের অবদান সবচেয়ে বেশি ছিল, তারা হলেন ২৭টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৪ প্রার্থীর টানা প্রচারে শীতলক্ষ্যার দুই পাড়ে ছিল ভোটের আমেজ।  রোববার ভোটে জয়ী হয়েছেন ৩৬ জন। 
সন্ধ্যায় ভোট গণনা শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গণে বেসরকারিভাবে ২৭ কাউন্সিলর ও ৯ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। নবনির্বাচিত ২৭ কাউন্সিলর হলেন- নাসিক ১নং ওয়ার্ডে আওয়ামীপন্থি আনোয়ার হোসেন, ২নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপি নেতা মো. ইকবাল হোসেন, ৩নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আওয়ামী লীগের শাহজালাল বাদল, ৪নং ওয়ার্ডে যুবদলের নুর উদ্দিন, ৫নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপির সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের ছেলে গোলাম মুহাম্মদ সাদরিল, ৬নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর আওয়ামী লীগের মতিউর রহমান, ৭নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মিজানুর রহমান রিপন, ৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আওয়ামী লীগের রুহুল আমিন মোল্লা, ৯নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া ইস্রাফিল প্রধান, ১০নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আওয়ামী লীগের ইফতেখার আলম খোকন, ১১নং ওয়ার্ডে বিএনপির অহিদুল ইসলাম ছক্কু, ১২নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপির শওকত হাসেম শকু, ১৪নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের মনিরুজ্জামান মনির, ১৫নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের অসিত বরন বিশ্বাস, ১৬নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের রিয়াদ হাসান, ১৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আওয়ামী লীগের মো. আব্দুল করিম বাবু, ১৮নং ওয়ার্ডের শ্রমিক লীগ নেতা কামরুল হাসান মুন্না, ১৯নং ওয়ার্ডের জাতীয় পার্টির মোখলেছুর রহমান চৌধুরী, ২০নং ওয়ার্ডে বিএনপির মোহাম্মদ শাহেন শাহ, ২১নং ওয়ার্র্ডে দল নিরপেক্ষ শাহিন মিয়া, ২২নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপির সুলতান আহমেদ ভূঁইয়া, ২৩নং ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসেবক দলের মহানগরের সভাপতি আবুল কাউসার আশা, ২৪নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর জাতীয় পার্টির আফজাল হোসেন, ২৫নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপির এনায়েত হোসেন, ২৬নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপির মো. সামসুজ্জোহা এবং ২৭নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সিরাজুল ইসলাম।

অপরদিকে সংরক্ষিত ৯ জন নারী কাউন্সিলর হলেন- ১, ২ ও ৩ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মাকসুদা মোজাফফর, ৪, ৫ ও ৬ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মনোয়ারা বেগম, ৭, ৮ ও ৯ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মোসাম্মাৎ আয়েশা আক্তার দিনা, ১০, ১১ ও ১২ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মিনোয়ারা বেগম, ১৩, ১৪ ও ১৫ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে শারমীন হাবিব বিন্নী, ১৬, ১৭ ও ১৮ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে আফসানা আফরোজ বিভা, ১৯, ২০ ও ২১ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে শিউলি নওশাদ, ২২, ২৩ ও ২৪ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে শাওন অংকন এবং ২৫, ২৬ ও ২৭ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে সানিয়া আক্তার।

Bootstrap Image Preview