মোস্তফা সারয়ার ফারুকী ।। আমরা যারা মহল্লায় বড় হইছি, আমাদের কাছে মহল্লার মসজিদ একটা বড় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান! নামাজ ছাড়াও, বিচার আচার সহ আরো অনেক সামাজিক বিষয় আশয়ে এই প্রতিষ্ঠান আমাদের শৈশবের সাথে জড়ায়ে আছে। আমাদের মহল্লার মসজিদের নাম নুরানী মসজিদ। রীতি অনুযায়ী আব্বা আমাদের মেয়ের আকিকার জন্য মিলাদের আয়োজন করেন নুরানী মসজিদে।
মসজিদে গিয়ে দেখি সামনের সারিতে পরিচিত মুরুব্বীরা কেউই নেই। জানতে পারি বেশির ভাগই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন।
মসজিদের ভিতরে বসে এই দিক সেই দিক দেখতেছিলাম। মনে পড়লো এই মসজিদে জীবনে প্রথম গেছিলাম আব্বার হাত ধরে। আজকে এতো বছর পর গেলাম আবার। এবার উপলক্ষ্য আমাদের মেয়ের আকিকার মিলাদ।
চোখ ভিজে আসতেছিল বারবার। এভাবেই হয়তো বৃত্ত পূর্ণ হয়, এভাবেই আমরা আমাদের অতীতে ফিরে যাই আমদের ভবিষ্যতের হাত ধরে।