মাত্র ১৯ বছর বয়সেই পৃথিবী মাতাচ্ছেন আমেরিকান গীতিকার ও গায়িকা বিলি আইলিশ। এই বয়সেই জয় করেছেন সাতটি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড! কিন্তু অপরিণত বয়সে পর্নো দেখে বড় মাশুল গুনেছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।
বুধবার দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মাত্র ১১ বছর বয়সেই পর্নো দেখতে শুরু করেছিলেন বিলি আইলিশ। কিন্তু এই অভিজ্ঞতা পরে তার যৌন জীবনে এক দুর্বিষহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
আগামী শনিবার ২০ বছরে পা রাখবেন এই গায়িকা। এ উপলক্ষেই গত সোমবার সাইরাস-এক্সএম রেডিওর ‘হাওয়ার্ড স্ট্যান শো’তে আমন্ত্রণ জানানো হয় তাকে। এই অনুষ্ঠানেই নিজের জীবনে পর্নো দেখার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন তিনি।
বিলি আইলিশ বলেন, ‘‘আমি মনে করি, পর্নোগ্রাফি একটি ‘অসম্মান’। সত্যি কথা বলতে আমি অসংখ্য পর্নো দেখেছি। আমি পর্নো দেখা শুরু করেছিলাম মাত্র ১১ বছর বয়সে!’’
এই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা আমার মাথা খেয়ে দিয়েছিল। আমি এত বেশি পর্নো দেখেছি যে এখন নিজেকে বিধ্বস্ত লাগে।’
বিলি জানান, পর্নো দেখা অনেক সময় দুঃস্বপ্নের নামান্তর হয়েছে তার জীবনে। কারণ তার দেখা কিছু কিছু পর্নো কনটেন্ট ছিল উগ্র আর অবমাননাকর।
বিলি আইলিশ বেড়ে উঠেছেন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে। ডার্ক লিরিকের জন্য তিনি দারুণ জনপ্রিয়।
নিজের দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘হ্যাপিয়ার দেন এভার’-এর ‘মেল ফ্যান্টাসি’ গানটি মূলত তার অতীত জীবনের একটি অধ্যায় বর্ণনা করেছে। এই গানের লাইন থেকেই জানা যায়, শৈশবে বাড়িতে তার একা থাকার মুহূর্তগুলো। এই নিঃসঙ্গতাই তাকে পর্নো দেখার ইন্ধন জোগায়। এর প্রভাব পড়ে তার ভঙ্গুর প্রেমের সম্পর্কেও।
এত বেশি পর্নো দেখার জন্য এখন নিজের ওপরই রাগ হচ্ছে বিলির। তিনি বলেন, ‘আমি যখন প্রথম প্রথম সঙ্গম করি, তখন অনেক মন্দ ব্যাপারকেও না বলতে পারিনি। কারণ এগুলোকেই আমি আকর্ষণীয় ভেবেছিলাম।’
বিলি আইলিশ ঢোলাঢালা পোশাক পরে স্টেজ পারফর্ম করতে শুরু করেছিলেন এই ভেবে যে, কেউ যেন তার শরীর নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে না পারে। তিনিই ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি, যিনি একই বছরে শীর্ষ চারটি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছেন। আর এই কাণ্ড তিনি গত বছরই করেছেন মাত্র ১৮ বছর বয়সে।
এই তারকা জানান, খ্যাতির জন্যই কারও সঙ্গে একান্তে রোমাঞ্চ করা এখন তার দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।