একটা নির্দিষ্ট সময় পর আমাদের দেহে মেদ জমতে আরম্ভ করে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মুটিয়ে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। তবে দেহের অন্যান্য অংশের তুলনায় পেটের মেদ খুব দ্রুত বেড়ে যায়। কম কিংবা বেশি, যে কোন বয়সেই পেটের মেদ অস্বাভাবিক আকারে বাড়তে থাকে যা দেহের অন্যান্য অংশের সাথে বেশ বেমানান দেখায়। আজকাল আমরা প্রত্যেকেই অনেক ব্যস্ত। পড়াশোনা, চাকরি কিংবা গৃহস্থালী সব কাজের ফাঁকে নিজেদেরকে দেয়ার মতো সময় আমাদের হাতে থাকে না। হয়তো শপিং করতে গেলে অথবা পুরাতন কাপড় পড়তে গেলেই আমরা খেয়াল করি যে পেটটি আর আগের মতো নেই। বেশ অনেকটাই ঝুলে পড়েছে। তখনই বাঁধে যত বিপত্তি। তাই কমিয়ে ফেলুন পেটের মেদ। কিন্তু কিভাবে?
মেদহীন, আকর্ষণীয় কোমর পেতে চাই সবাই। আর এজন্য আমরা অনেকেই পেটের মেদ কমানোর জন্য বেলি স্ট্রোক অর্থাৎ পেটের মাংসপেশির ব্যায়াম করে থাকি।
এর ফলে পেটের মাংসপেশির টোন বা আকৃতি সুন্দর হলেও পেটের মেদ কমাতে তা খুব একটা কাজে দেয় না।
পেটের মেদ কমাতে যা করতে পারেন-
• নিয়মিত ব্যয়াম ও ক্যালোরি পোড়ানোর পাশাপাশি ফিগার সুন্দর রাখতে হলে পর্যাপ্ত ঘুম দরকার
• ঘুমাতে হবে কিন্তু বাতি নিভিয়ে ঘর অন্ধকার করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, অন্ধকার ঘর শরীরে মেলাটনিন তৈরিতে সাহায্য করে। যা হজমশক্তি বাড়িয়ে মেদ কমাতে সাহায্য করে
• গভীর ঘুমের সময় ব্রেন সবথেকে বেশি অ্যাকটিভ থাকে। গভীর ঘুম শরীরের ক্যালোরি বেশি পোড়াতে সাহায্য করে। ফলে ঘুম যত বেশি গভীর হবে, তত বেশি কমবে শরীরের মেদ
• শুতে যাওয়ার ঘণ্টা দুই আগে গ্রিন টি পান করতে পারেন। গ্রিন টিতে ক্যাফেইন থাকার কারণে মেটাবলিজম রেট বেড়ে দ্রুত ক্যালোরি পোড়েঘুমের সময় বিছানায় মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাব এগুলোকেও সঙ্গে রাখবেন না যেন। এগুলোর কাছে থাকলেই আপডেট দেখতে ইচ্ছা করবে। যা ঘুমে সমস্যা তৈরি করে।
নিয়ম মেনে পরিমিত ব্যায়াম করে গেলে ও পুষ্টিকর খাবার খেলেই সুস্থ শরীর আর মেদহীন কোমর থাকবে সব সময়।