বেসরকারি খাতে ১২ কেজির তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডারের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। মুসকসহ প্রতি কেজি ১৮ টাকা ৮৫ পয়সা বাড়িয়ে ১০৪ টাকা ৯২ পয়সা করা হয়েছে। গত মাসে কেজি প্রতি বোতলজাত এলপিজির কেজি প্রতি দাম ছিল ৮৬ টাকা ৭ পয়সা। অর্থাৎ এখন থেকে ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির সিলিন্ডার পেতে খরচ হবে ১ হাজার ২৫৯ টাকা।
রোববার (১০ অক্টোবর) থেকে ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির সিলিন্ডার পেতে খরচ হবে ১ হাজার ২৫৯ টাকা, যা আগে ছিল ১ হাজার ৩৩ টাকা।
অন্যদিকে, গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে লিটারপ্রতি ৫৮ টাকা ৬৮ পয়সা, যা আগে ছিল ৫০ টাকা ৫৬ পয়সা।
তবে উৎপাদন পর্যায়ে ব্যয় পরিবর্তন না হওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির এলপিজি আগের দামেই থাকছে। সরকারি সাড়ে ১২ কেজি এলপিজি বিক্রি হবে ৫৯১ টাকায়।
রোববার (১০ অক্টোবর) এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন দাম ঘোষণা করে জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি। এ বছরের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণের পর থেকে প্রতি মাসেই তা সমন্বয় করা হচ্ছে।
গত মাসেও (সেপ্টেম্বর) খুচরা পর্যায়ে এলপিজির দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন ১২ কেজি এলপিজি ৯৯৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৩ টাকা করা হয়। তবে এবার এক লাফে ২২৬ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
নতুন দাম ঘোষণা করে সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল বলেন, বিশ্ববাজারে এলপিজির দাম অনেক বেড়ে গেছে। সেটিকে ধরেই দেশে যথাযথভাবে দাম সমন্বয় করা হয়েছে। অপারেটররা নিশ্চয়ই এটি কার্যকর করবেন।
অপরদিকে বিইআরসির সদস্য মকবুল ই ইলাহি বলেন, এক কেজি এলপিজির ব্যবহার মানে হলো ১৮ কেজি গাছ বাঁচানো। তাই এর ব্যবহার বাড়ানো দরকার। কম দামে এলপিজি আমদানি করতে হবে। প্রতিবেশী দেশ অনেক কম দামে এলপিজি আমদানি করছে। বাড়তি দামে না কেনার বিষয়ে ভোক্তাদের সচেতন হতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিইআরসির সদস্য মোহম্মদ আবু ফারুক, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন কমিশনের সচিব রুবিনা ফেরদৌসী।
গত বছরের ডিসেম্বরে বিইআরসিতে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করে এলপিজি সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো। তাদের প্রস্তাব মূল্যায়ন করে বিইআরসি গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। এরপর চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি এলপিজির দাম নির্ধারণ নিয়ে গণশুনানি করে বিইআরসি। এরপর ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে নতুন করে ফের গত মাসে গণশুনানি করে কমিশন।
জানা যায়, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করছে বিইআরসি।