বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামের সার্ভার ৬ ঘণ্টার বেশি সময় ডাউন ছিল। এতে দীর্ঘসময় ধরে ভোগান্তিতে পড়েন বিশ্বব্যাপী ৩৫০ কোটি ব্যবহারকারী।
সমস্যার পরই ক্ষমা প্রার্থনা করে যত দ্রুত সম্ভব স্বাভাবিকের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানায় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি। তবে অনেক সময় ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি ডাউন থাকায়, তাদের কারিগরি টিমের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেক ব্যবহারকারী।
এ অবস্থায় সমস্যার কারণ জানিয়েছে ফেসবুক ইনকরপোরেশন। রাউটারগুলোতে ত্রুটিপূর্ণ কনফিগারেশন পরিবর্তনকে সমস্যার মূল কারণ বলছে তারা।
এক ব্লগ পোস্টে ফেসবুক জানিয়েছে, সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং দল জানতে পেরেছে যে, ব্যাকবোন রাউটারে কনফিগারেশন পরিবর্তনের কারণে এমনটি হয়েছে, যা আমাদের ডেটা সেন্টারের মধ্যে নেটওয়ার্ক ট্র্যাফিককে সমন্বয় করে।
এদিকে দীর্ঘসময় ফেসবুক অচল থাকায় এর প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের ব্যক্তিগত সম্পদের ক্ষতি হয়েছে অন্তত ৭ বিলিয়ন ডলার। শুধু তাই নয়, কয়েক ঘণ্টার অচলাবস্থা প্রভাব ফেলেছে কোম্পানিটির শেয়ারেও। ফেসবুকের শেয়ারের দাম কমে গেছে ৪.৯ শতাংশ। ফলে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে হিসাব করলে দাম কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশ।
সোমবার রাতের হঠাৎ থমকে যায় হোয়্যাটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম সেবা। বাংলাদেশের স্থানীয় সময় রাত পৌনে ১০টার পর থেকে হোয়্যাটসঅ্যাপে মেসেজ যাচ্ছিল না। ইন্টারনেট ‘অন’ থাকলেও কোনো কাজ করা যাচ্ছিল না। এরপর ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রামেও একই সমস্যা দেখা যায়। দীর্ঘসময় ভোগান্তির পর মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) ভোর পৌনে ৪টার দিকে সচল হয় জনপ্রিয় সামাজিকমাধ্যমগুলো।
এর আগে, ৯ এপ্রিল হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্রামসহ ফেসবুকের সার্ভার কিছুক্ষণের জন্য ডাউন হয়ে পড়েছিল। তার আগে মার্চের ১৯ তারিখ ফেসবুক সার্ভারে ত্রুটি দেখা দেয়।